• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০৯:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০৯:০০ পিএম

নীরবে কেটে গেল নুসরাতের জন্মদিন

নীরবে কেটে গেল নুসরাতের জন্মদিন
একই দিনে জন্ম নেয়া ছোট ভাই রায়হানের সঙ্গে এক ফ্রেমে নুসরাত  -  ছবি : জাগরণ

আগুন-সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নির্মমভাবে নিহত সোনাগাজীর প্রতিবাদী কন্যা নুসরাত জাহান রাফির জন্মদিন ছিল ২০ নভেম্বর (বুধবার)। অনেকটা নীরবে চলে গেছে দিনটি। ১৯৯৯ সালের এই দিনে নুসরাত সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম একেএম মুছা, মায়ের নাম শিরিনা আক্তার।

নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান বলেন, ‘কাকতালীয়ভাবে আমি আর নুসরাত আপু দুই বছরের ব্যবধানে একই দিনে জন্মগ্রহণ করেছি। আপু ছিল আমার খেলার সাথি ও সবচেয়ে কাছের বন্ধু। প্রতিটি দিন আপুকে মিস করি। পরপারে ভালো থাকুক আমার প্রিয় বোন, আজকের এই দিনে এ দোয়াই করি।’

চলতি বছরের ২৭ মার্চ তার নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হন নুসরাত। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে অধ্যক্ষের অনুগতদের হাতে আগুন-সন্ত্রাসের শিকার হয়ে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

গত ২৪ অক্টোবর আলোচিত এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মামুনুর রশীদ এ হত্যা মামলায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাসহ ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

ছোট বোন নুসরাতের জন্মদিনের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, ‘আমাদের চার ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে আদরের ছিল নুসরাত। তার এ নির্মম মৃত্যু আমাদের পরিবারের সকল সুখ কেড়ে নিয়েছে। এক‌টি দিনের জন্যও আমরা তাকে ভুলতে পারছি না।’

নুসরাতের মা শিরিনা আক্তার বলেন, ‘লম্পট সিরাজের কারণে আমার বুকের মানিককে আমি আজীবনের জন্য হারিয়ে ফেলেছি। এত কষ্ট পেয়ে কোনো মানুষকে আমি মরতে দেখিনি। আগুনে দগ্ধ শরীর নিয়ে চারটি দিন প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়ে আমার সোনার পুতুল আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।’

এনআই

আরও পড়ুন