• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০৩:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০৩:৪২ পিএম

মাগুরায় কাত্যায়নী পূজা শেষে জমে উঠেছে মেলা

মাগুরায় কাত্যায়নী পূজা শেষে জমে উঠেছে মেলা
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মেলা থেকে কিনছেন তাদের পছন্দের জিনিসপত্র  -  ছবি : জাগরণ

মাগুরার ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মাসব্যাপী মেলা শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মেলায় আসা ক্রেতা সাধারণের ভিড়ে মুখর হয় গোটা মেলা অঙ্গন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মেলা থেকে কিনছেন তাদের পছন্দের জিনিসপত্র।

এবারের মেলায় বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা মূল্যের ‘রাজপঙ্খি’ ও ‘ময়ূরপঙ্খি’ নামের দুটি পালঙ্ক। এ দুটি পালঙ্ক দেখতে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে বিশেষ কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই কেবল পালঙ্ক দুটি দেখার জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলায় আসছেন। পালঙ্ক দুটিতে কাঠের ওপর খোদাই করে মনের মাধুরী মিশিয়ে শিল্পীদের নিপুণ হাতে ফুটিয়ে তুলেছেন আবহমান গ্রাম-বাংলার চিরচেনা দৃষ্টিনন্দন রূপ। যেখানে রয়েছে নদী, ফুল, পাখি, প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য।

৫ লাখ টাকা মূল্যের ‘রাজপঙ্খি’ ও ‘ময়ূরপঙ্খি’ নামের দুটি পালঙ্ক  -  ছবি : জাগরণ

মাগুরা নতুন বাজার দরি মাগুরা ছানার বটতলায় কাত্যায়নী পূজা উপলক্ষে এ মেলায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের নানা পণ্যসামগ্রী নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন। যার মধ্যে রয়েছে কাঠের তৈরি সোফা, আলমিরা, ওয়ার্ডরোব, ডাইনিং টেবিল, চেয়ার ও খাট। পাশাপাশি স্টিলের আলমিরা, বাক্স, যার মধ্যে রয়েছে শীতের কম্বলসহ তৈরি পোশাক, চীনা মাটির তৈরি জিনিসপত্র, নারীদের গহনা প্রসাধনী, ঘর গৃহস্থালির নানা সামগ্রী। এছাড়া শিশুদের নানা রকমের খেলনা মেলায় স্থান পেয়েছে।

মেলায় আসা আঠারোখাদা গ্রামের রহিমা খাতুন জানান, প্রতিবছরই তিনি মেলা থেকে সাংসারিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে থাকেন। এবারো তিনি কম্বলসহ চীনা মাটির প্লেট কিনেছেন।

সদর উপজেলার কাটাখলী এলাকার শরাফত আলী জানান, সামনে তার মেয়ের বিয়ে, তাই মেলা থেকে তিনি একটি কাঠের ওয়ার্ডরোব কিনেছেন।

মেলা কমিটির সদস্য আনন্দ ঘোষ জানান, প্রতিবছর ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা শেষে মাসব্যাপী মেলা চলে। মেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন এলাকার ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন। মেলার নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা নিয়োজিত রয়েছেন।

এনআই

আরও পড়ুন