• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০৬:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০৬:২৬ পিএম

পঞ্চগড়ে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি মুক্তিযোদ্ধার

পঞ্চগড়ে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি মুক্তিযোদ্ধার
মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের ভূইয়া  -  ছবি : জাগরণ

পঞ্চগড়ে এবার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সুবিধা ভোগ করা ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়নের প্রতিবাদে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এক মুক্তিযোদ্ধা। দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের মুন্সীপাড়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের ভূইয়া (৭৬) জেলা প্রশাসক বরাবর এই আবেদন করেছেন।

মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের ভূইয়া মুক্তিযুদ্ধে ৬ নং সেক্টরের অধীনে একটি কোম্পানির কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে দেবীগঞ্জকে মুক্ত করেন। ওইদিন বিকেলে আনসার অফিসের সামনে ৩১ বার তোপধ্বনির পর তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।

লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১৬৪ জন মুক্তিযোদ্ধা আছেন। এর মধ্যে ৪৩ জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন। ২০১২ সাল থেকে এই মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেও তিনি কোনো প্রতিকার পাননি। একই সঙ্গে মূল উদ্যোক্তাকে (তাকে) অবমূল্যায়ন করে নামধারী মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে নামমাত্র অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবস পালন করা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের ভূইয়া বলেন, ‘মৃত্যুর পর একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার দাফন-কাফনে প্রকৃত নয় এমন মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারি না। তাই মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাখ্যানের আবেদন করেছি। একই সঙ্গে স্বজনদের বলেছি, আমাকে যেন পারিবারিক ও সামাজিকভাবে দাফন করা হয়।’

এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার স্বদেশ চন্দ্র রায় বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় এটা প্রমাণ করার দায়িত্ব অভিযোগকারীর। যদি এমন কেউ থাকেন তাহলে তিনিই তাদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন। কারণ সে সময় তিনিই কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন।

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের ভুঁইয়ার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গ্রহণ না করার আবেদনটি পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এনআই

আরও পড়ুন