• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০৭:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০৭:৫৮ পিএম

ফরিদপুরে বাবার বিরুদ্ধে দুই সন্তানকে গুম করার অভিযোগ

ফরিদপুরে বাবার বিরুদ্ধে দুই সন্তানকে গুম করার অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তাসনিম ফারজানা  -  ছবি : জাগরণ

বাবার অতিরিক্ত সম্পদ অভিলাষের শিকার হয়ে এক মেয়ে ও দুই ছেলেসন্তান এখন আদালত ও সাংবাদিকদের পেছনে ছুটছেন। এরই মধ্যে ওই বাবা তার দুই সন্তানকে গুম করে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার মেয়ে।

তার বাবা খাদ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক সিকদার আবুল কালাম আজাদ। তিনি দীর্ঘদিন বড় পদে থেকে অবসরে যান অনেক দিন হলো। এরই মাঝে তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম মৃত্যুবরণ করেন। তবে এর আগে থেকেই তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ছিল স্ত্রী-সন্তানদের কাছে সন্দিহান।

বাবার এসব কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ও তার নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার মেয়ে তাসনিম ফারজানা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আজাদের দুই ছেলে বরকত আল আজাদ ও রহমত আল আজাদ। তাদের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পানাইল গ্রামে। তবে বড় ছেলে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বরকত আল আজাদ থাকেন বর্তমানে ঢাকায় ও মেয়ে তাসনিম ফারজানা বিবাহিত সূত্রে থাকেন ঢাকায়। এছাড়া ছোট ছেলে রহমত আল আজাদ থাকেন নানাবাড়ি ঝিনাইদহ জেলার কোটচাদঁপুর এলাকায়। আর এখানে বিপুল পরিমাণ জমি নিয়েই বাবার সাথে সন্তানদের বিবাদ বলে জানান ছেলেমেয়েরা।

সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত লিখিত বক্তব্যে ফারজানা বলেন, তার বাবা খাদ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক সিকদার আবুল কালাম আজাদ। তাদের নানাবাড়ির সম্পত্তির লোভে তার দুই ভাইকে গত ১৬ অক্টোবর ঢাকা থেকে ডেকে ঝিনাইদহ নিয়ে আসেন জমিজমা মিটমাটের কথা বলে। সেখান থেকে মাগুরা ডিবি পুলিশ দিয়ে তার দুই ভাইকে গুম করেন। এরপর তাদেরকে মাগুরায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে তার দুই ভাইকে দুই দিন রেখে গত ১৮ অক্টোবর ফরিদপুর শহরের লাইফ কেয়ার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে রাখা হয়। এরপর আবার মাগুরা ডিবি পুলিশের দল ও তার বাবা ২০ নভেম্বর এসে তাদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান। পরে সেখানে তত্ত্বাবধানে থাকা পরিচালক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চাইলে তাদেরকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। এর আগে ডিবি পুলিশ এবং তিনি তার দুই ছেলেকে বেদম প্রহার করে হাত ভেঙে দেয়াসহ তাদের রক্তাক্ত করেন। তারা চলে যাওয়ার পর তাদেরকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ সময় বড় ছেলে বরকত আল আজাদ বলেন, ‘আমাদের দুই ভাইকে মাদকসেবী বানিয়ে মাগুরা ডিবি পুলিশ দিয়ে আটক করে নিয়ে আসা হয়। আমার ছোট বোন আমাদের কোথাও খুঁজে না পেয়ে ২৬ অক্টোবর একটি জিডি করে ধানমন্ডি থানায়। এরপর ৩১ অক্টোবর একটি পিটিশন মামলা করা হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মো. বেলাল হোসেন জানান, ২০ নভেম্বর তারা খবর পেয়ে লাইফ কেয়ার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন হাইকোর্টে তাদের নিয়ে একটি রিট পিটিশন রয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন