• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০১৯, ১১:৫৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৩০, ২০১৯, ১১:৫৫ এএম

আমন ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক 

আমন ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক 

ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আমন ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকরা। নবান্নের আমেজে ধান কাটার ধুম লেগেছে। আমন মৌসুমে বিভিন্ন জাতের সুগন্ধিজাত চিনিগুড়ি, উফসী ও স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ হয়েছ। আবার গত কয়েক বছর যাবৎ উন্নত জাতের ধানের আবাদ করে আশানুরূপ দাম না পেয়ে চাষিরা হতাশ। তারপরও পেটের ক্ষুধা নিভৃত করতে বাধ্য হয়ে ধান চাষ করতে হয়।

পালগাঁও গ্রামের কৃষক গ্রাম্য ডাক্তার আমজাদ হোসেন দৈনিক জাগণকে জানান এ বছর তিনি এক একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। এর মধ্যে ৮ কাঠা জমিতে সুগন্ধিজাত চিনিগুড়ি ও ৮ কাঠায় স্থানীয় জাতের আবাদ করেছেন। 
তিনি আরো জানান, উফসী ও স্থানীয় জাত ধানের বাজার মূল্য বর্তমানে ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা ও চিনিগুড়ি ১৫০০ টাকা মণ দরে নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর আমন আবাদে রোগবালাই তেমন ছিল না, বৃষ্টি হয়েছে উপযুক্ত সময়ে যে কারণে আমন ধানের ফলন ভাল হয়েছে। ধান কাটার শ্রমিকদের মজুরি ৪০০ টাকা রোজ হওয়ায় সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। ভালুকা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ ইউনিয়নেই কমবেশি আমন ধানের আবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে ভালুকা, মল্লিকবাড়ী, ভরাডোবা, বিরুনিয়া, মেদুয়ারী, ধীতপুর ও রাজৈ ইউনিয়ন নদী খাল বিলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এসব ইউনিয়নে আমন আবাদ তুলনামূলক কম হয়। উথুরা, কাচিনা, ডাকাতিয়া ও হবিরবাড়ী ইউনিয়নের  জমি উঁচু ও সমান্তরাল হওয়ায় এসব এলাকায় আমন আবাদ বেশি হয়। 

ভালুকা পৌর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জানান, এ বছর ব্রী-ধান ৪৯, ৫১ ও ৫২, ৭১ সহ স্থানীয় আরও কিছু জাতের আমন ধানের আবাদ হয়েছে। রোগ বালাই ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় তার ব্লকে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৪৪০ হেক্টর এর মধ্যে উফসী ১৭ হাজার ৯৮০ হেক্টর, স্থানীয় ২ হাজার ২৭৫ হেক্টর ও হাইব্রিড ১৮৫ হেক্টর জমি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার ৫৬৫ মেট্রিক টন।

কেএসটি

আরও পড়ুন