• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০১৯, ১২:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৩০, ২০১৯, ১২:৫৮ পিএম

চবিতে ছাত্রলীগের দুগ্রপের সংঘর্ষ, উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

চবিতে ছাত্রলীগের দুগ্রপের সংঘর্ষ, উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত এগারোটা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। শনিবার দুপুর ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুগ্রুপ মারমুখি অবস্থানে রয়েছে।

নেতাকর্মীরা জানায়, সংঘর্ষে জড়ানো একটি পক্ষ চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ভিএক্স ও অপর পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী সিএফসি গ্রুপ।

চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল জানান, ছাত্রলীগ নেতা তাপস সরকার হত্যা মামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে চবি ছাত্রলীগ তৎপর হলে একটি পক্ষ সেটাকে বানচাল করতে বার বার ঝামেলা করছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলেও এ নিয়ে সংঘর্ষ বাধায় পক্ষটি। 

তিনি বলেন, আবদুর রব হলে সিএফসি গ্রুপ মিটিং ডাকে। একই সময়ে ভিএক্স গ্রুপও মিটিং ডাকে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হল থেকে অস্ত্রসহ সিএফসির নেতা-কর্মীরা এবং ভিএক্সের কর্মীরা আব্দুর রব হলে অবস্থান করে। 
এসময় পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে ঘটনার সুরাহা করা হয়। এ ঘটনার পর শুক্রবার দিনভর পরিস্থিতি ঠিক থাকলেও পূর্বের ঘটনার জের ধরে ফের সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ দুটি। রাত ১১টার দিকে তাপস স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা আবার সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা পরস্পরকে ইটপাটকেল ছোড়ে। এই ঘটনায় পাঁচজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়।
তারা হলেন, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ, গণিত বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানজিম সাদমান ও সুইডেন, ইসলামী শিক্ষা বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শেখ জাহিদ, ইতিহাস বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ।  

চবি মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. উৎপল বলেন, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাকিদের এখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

চবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা মিজানুর রহমান বিপুল জানান, বৃহস্পতিবার রব হলে দুই গ্রুপের মিটিংকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়। আমরা তার সমাধান করি। কিন্তু শুক্রবার রাতে আমাদের কিছু ছোট ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান হলে মিটিং করে। কয়েকজনের পরীক্ষা থাকায় তারা রব হলে বই আনতে যায়। এ সময় সিএফসি গ্রুপের ছেলেরা তাদের মারধর করে। 

চবি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আব্দুর রহিম বলেন, ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষের পর শনিবার সকাল থেকেও ক্যাম্পাসে উত্তেজনা চলছে। দুগ্রুপ মারমুখি অবস্থানে থাকলেও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। 

কেএসটি