• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০১৯, ১২:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৩, ২০১৯, ০৭:২৮ পিএম

সারাদেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস

সারাদেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন -ছবি : জাগরণ

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারাদেশে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০১৯ পালিত হচ্ছে আজ। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২৮ এবং দেশে ২১তম এ দিবসটি  রাজধানী পেরিয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে ‘অভিগম্য আগামীর পথে’।

প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে সমজ কল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন। 

দেশজুড়ে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালনের কথা উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, এবছর শুধু রাজধানী আর জেলা শহরেই দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে না রবং উপজেলা পর্যায়েও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। সারা দেশে ১৬ লাখ ৭৯ হাজার প্রতিবন্ধী রয়েছে। রাজধানী ঢাকার চেয়ে বাইরেই এর সংখ্যা বেশি। সরকার প্রতি প্রতিবন্ধীকে মাসে ৭৫০ টাকা করে ভাতা দিচ্ছেন। তবে স্কুল এবং কলেজের ১ লাখ শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে ৭০০ থেকে ২০০০ টাকা (কলেজ) ভাতা দেয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা লাভের পর দেশের সংবিধানের ২৮(৩) ধারায় জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে, সংবিধানের ১৫(৪) ধারায় অসুস্থ, প্রতিবন্ধী, বিধবা, এতিম ও বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করতে আওয়ামী লীগ সরকারই ১৯৯৯ সালে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধীদেও উন্নয়নে নিরলশভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, প্রধানমস্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে ২০১০ সালের ২ এপ্রিল অটিজম রিসোর্স সেন্টার এর উদ্বোধন করেন। এর পাশাপাশি সেখানে একটি করে প্রতিবন্ধী কর্মজীবী পুরুষ ও মহিলা হোস্টেল, প্রতিবন্ধী শিশু নিবাস ও অটিস্টিক স্কুল চালু করা হয়েছে। এছাড়া অটিজম বৈশিষ্ট শিশুর অভিভাবকদের শিশুর প্রত্যাহিক লালন-পালনের প্রশিক্ষণদানসহ নানা রকম সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এমএ/একেএস/টিএফ

আরও পড়ুন