• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০১৯, ০৫:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৫, ২০১৯, ০৫:৪২ পিএম

সংবাদের ‘তথ্য সরবরাহকারীদের’ শাস্তি চেয়ে কুবিতে মানববন্ধন!

সংবাদের ‘তথ্য সরবরাহকারীদের’ শাস্তি চেয়ে কুবিতে মানববন্ধন!
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন  -  ছবি : জাগরণ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ‘তথ্য সরবরাহকারীদের’ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এই তথ্য ফাঁসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে জানিয়ে সাংবাদিকদের কাছে ‘তথ্য সরবরাহকারীদের’ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দেখা যায়, উপস্থিতির তালিকায় অনুপস্থিত ২০৬০৫০ রোলধারী পরীক্ষার্থী সাজ্জাতুল ১২তম স্থান অধিকার করেছেন। ঘটনাটি উপস্থিতির তালিকাসহ গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি স্থগিত করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সেই তদন্ত কমিটি সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, মো. আল মোস্তাকিন নামের এক শিক্ষার্থী নিজের উত্তরপত্রের (ওএমআর) রোল নম্বরের ঘর পূরণের সময় ভুলে ‘১’ এর স্থলে ‘০’ ভরাট করেন। ওই কক্ষের দায়িত্বে থাকা পরিদর্শকের অসতর্কতায় বিষয়টি ধরা না পড়ায় উত্তরপত্রটি ভুলভাবেই মূল্যায়িত হয়। এতে ২০৬১৫০ রোলধারী ভর্তিচ্ছু মো. আল মোস্তাকিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও তার বদলে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থী সাজ্জাতুল ইসলামের রোল ২০৬০৫০ স্থান পায় মেধাতালিকায়। এতে ‘বি’ ইউনিট ভর্তি কমিটির কোনো রকম জালিয়াতি তদন্ত কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়নি বলেও জানানো হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার এটিকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করে ‘মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন’ শীর্ষক ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা শতভাগ স্বচ্ছ হয়েছে। শুধু শিক্ষার্থীর ভুল বৃত্ত ভরাটের কারণে ফলাফলে এক পরীক্ষার্থীর নাম এসেছে। ওই শিক্ষার্থী ভাইভাও দেননি, ভর্তি হতেও আসেননি। তাই গোপনীয় এই তথ্য যে বা যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে তাদের অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে যে বা যারা মিথ্যা-বানোয়াট-অপপ্রচারের জন্য তথ্য ফাঁস করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কর্তৃক একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হয়, সেই ব্যবস্থা করা হোক।

মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. শামিমুল ইসলাম। এ সময় ‘বি’ ইউনিটের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘অনুপস্থিত শিক্ষার্থী মেধাতালিকায় ১২তম’ শীর্ষক একাধিক গণমাধ্যমের সংবাদে সাংবাদিকরা ভুল বা মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেননি, তাহলে তথ্য সরবরাহকারী মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য কীভাবে দিল প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘যারা ঘটনাটিকে গণমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। সবাই সেটা করেননি, তবে অনেকেই আগে এবং পরের বিভিন্ন বিষয় না জেনে এই বিষয়টিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অন্যভাবে উপস্থাপন করে ভর্তি পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছেন। আমরা চাই যে বা যারা এই ‘মিথ্যা তথ্য’ ফাঁসের সাথে জড়িত তারা শাস্তির আওতায় আসুক।'

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী ওমর সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি ড. মো. শামিমুল ইসলাম। এতে শিক্ষক সমিতির নেতারাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এনআই

আরও পড়ুন