• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০১৯, ০৮:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৫, ২০১৯, ০৮:১৯ পিএম

৬ মাসের বেতন বকেয়া

ক্যাপিটাল পেপার অ্যান্ড পাল্প মিল বন্ধ ঘোষণা

ক্যাপিটাল পেপার অ্যান্ড পাল্প মিল বন্ধ ঘোষণা

শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রায় ৬ মাসের বেতন বকেয়া রেখেই বন্ধ ঘোষণা করে দেয়া হয় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ক্যাপিটাল পেপার অ্যান্ড পাল্প মিল।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মিলের গেটে লে-অফ ঘোষণার বিজ্ঞপ্তিটি টানানো হয়। মিলের ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন) স্বদীপ কুমার মজুমদারের স্বাক্ষরিত নোটিসে উল্লেখ করা হয়, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় এবং মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে কারখানাটি ২ ডিসেম্বর থেকে আগামী জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত ৩২ দিনর জন্য কারখানাটি লে-অফ ঘোষণা করা হয়।

এদিকে কারখানা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে মিলের ডিজিএম কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শ্রমিকরা।

কারখানার শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে জানান, গত ১২ আগস্ট ঈদের ছুটিতে মিলের উৎপাদন বন্ধ করার পর মিলের উৎপাদন পুনরায় চালু করেনি মিল কর্তৃপক্ষ। বিগত ৬ মাস ধরে বেতন-ভাতা না দিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে ৪ ডিসেম্বর মিলটি বন্ধ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে দেয়। কারখানায় কর্মরত দুই শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী বিগত ৬ মাস যাবৎ বেতন-ভাতা না পেয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।

মিলের শ্রমিক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বেতন না পেয়ে সাধারণ শ্রমিকরা অনাহারে-অর্ধাহারে ছেলেমেয়ে নিয়ে অতি কষ্টে দিন পার করছেন। এছাড়া বহু শ্রমিক পেটের দায়ে রিকশা, ভ্যান চালিয়ে সংসারের খরচ মেটাচ্ছেন।

মিলের অপর কর্মচারী সালাউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, শ্রমিকদের বিগত ছয় মাসের বেতন ও আট মাসের ওভারটাইম পরিশোধ না করেই হঠাৎ মিলের উৎপাদন বিগত ৬ মাস আগে বন্ধ করে দেয়া হয়। অবশেষে ৪ ডিসেম্বর বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।

কারখানার একটি সূত্র জানিয়েছে, ১০৪ মেট্রিকটন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যাপিটাল পেপার অ্যান্ড পাল্প ও ক্যাপিটাল বোর্ডের ২টি গ্যাস সংযোগ ছিলে। প্রায় ৭ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় তিতাস কর্তৃপক্ষ একটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে জুলাই মাসে এবং অপরটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আগস্ট মাসে। বর্তমানে দুটির সংযোগই বিচ্ছিন্ন থাকায় বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে স্থানীয় ডাঙ্গা ইউপির চেয়ারম্যান সাবের-উল-হাই উদ্বেগ জানিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কারখানার শ্রমিকদের কঠিন সমস্যায় ফেলে কারখানাটি বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এখন শ্রমিকরা না পারছে এই মিলের আশায় বসে থাকতে, না পারছে অন্য মিলে যোগদান করতে। তাছাড়া তাদের বেতন বকেয়া থাকায় বিষয়টি আরো জটিল। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে বন্ধ ঘোষণা করাটা কর্তৃপক্ষের যৌক্তিক হয়নি।

কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক মীর আলী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মাত্র ১ মাসের জন্য মিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মিলের গ্যাস সংযোগ দুটি হলেই পুনরায় মিলটি চালু করার চিন্তাভাবনা করবে কর্তৃপক্ষ।

এনআই

আরও পড়ুন