গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে ঘোষিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম পরিবর্তন করে পুনরায় সম্মেলন দাবি করেছে বিক্ষোভকারীরা। 

রোববার (৮ ডিসেম্বর) উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনের সড়কে দ্বিতীয় দিনের মতো এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

জানাগেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে রাত ৮টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে সাবেক শিক্ষক মো. লিয়াকত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার মানিকের নাম ঘোষণা করেন।

নাম ঘোষণার সাথে সাথে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা এই সম্মেলন বাতিলের দাবি জানান। এ সময় বিক্ষোভকারীরা জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। প্রায় ১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ পাহারায় উপজেলার আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা সম্মেলন স্থল ত্যাগ করেন। এরপর ক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা বান্ধাবাড়ি থেকে উপজেলা সদরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভ করেন। এরই অংশ হিসেবে আজও নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।

বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মহব্বত হোসেন গোলদার বলেন, সম্মেলন নিয়মতান্ত্রিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি। সম্মেলনে ৮ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন আমাকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মিজানুর রহমান হাওলাদার মানিকের নাম ঘোষণা করেছেন। 

বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, এই সম্মেলন বাতিল ঘোষণা না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। যদি ৩দিনের মধ্যে নতুন সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা না দেয়া হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।

এ ব্যাপারে জানার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, যেহেতু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্মেলনে একটি ঘোষণা দিয়েছেন। আবার সেই ঘোষনা নিয়ে একটি পক্ষ মিছিল সমাবেশ করছেন। সে ক্ষেত্রে আমরা দ্রুত উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ একত্রে বসে একটা সিন্ধান্ত নেব। 

একেএস