বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তিলোত্তমা বাগচী (২২) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের সন্ন্যাসী বাজার সংলগ্ন ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। তিলোত্তমা বাগচী স্থানীয় এআর খান ডিগ্রি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লিঙ্কন দাসের স্ত্রী।
স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে দাবি করে তিলোত্তমার বাবা তাপস কুমার বাগচী বলেন, আড়াই বছর পূর্বে লিঙ্কনের সঙ্গে বিয়ে হয় তিলোত্তমার। বিয়ের পর থেকেই অশান্তি বিরাজ করছিল তাদের সংসারে। চাকরির সুবাদে লিঙ্কন মোরেলগঞ্জের সন্ন্যাসী এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতো। সেখানে ঘরের মধ্যে তালাবন্দি করে রাখা হত তিলোত্তমাকে। মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতে দিতো না। অহরহ মারপিট করতো। সুযোগ হলেই পিতার কাছে অভিযোগ জানাতেন তিলোত্তমা।
তিনি বলেন, এসব কারণে প্রায় এক বছর পূর্বে তিলোত্তমা স্বামীর সংসারে আর না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। লিঙ্কনের অনুরোধে এক পর্যায়ে যেতে হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে বাঁচতে হল তিলোত্তমাকে। তাদের সংসারে কোন সন্তান নেই।
এ বিষয়ে থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূ তিলোত্তমার আত্মহত্যার বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নানা ধরণের গুঞ্জণ রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেম করাতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আত্মহত্যার পূর্বে তিলোত্তমা একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছেন। সেটি জনসমক্ষে আনা হয়নি। গণমাধ্যম কর্মীদেরকে আপাতত দেখানো যাবেনা। তবে আলামত হিসেবে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
টিএফ