• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০১৯, ০২:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৯, ২০১৯, ০২:৪২ পিএম

আমন ধানের বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

আমন ধানের বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

লক্ষ্মীপুরে আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া ও সুষম সারের ব্যবহার এবং সর্বোপরি কৃষকরা আধুনিক কলা-কৌশল অবলম্বন করায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ফলন ভাল হলেও শেষ সময়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র প্রভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চাষিরা। এদিকে উৎপাদন খরচের তুলনায় ধানের বাজার দর নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক। 

জেলা কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার ৫টি উপজেলায় ৭৮ হাজার ৫৯৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। যা আবাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ৩৯২ হেক্টর বেশি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৬১৮ মে. টন। এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও আমন ধান উৎপাদন বেশি হবে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।  

লক্ষ্মীপুরে এখন বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে আমন ফসল। মাঠের ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষাণ-কৃষাণী। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময়মত বীজ বপন এবং জৈব ও সুষম সারের সঠিক ব্যবহারের ফলে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে বেজায় খুশি এখানকার কৃষকরা।

তবে কৃষকরা জানান, সার ও কীটনাশক ওষুধের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় এবার প্রতিমণ ধান উৎপাদনে তাদের খরচ হয়েছে ৭শ থেকে ৮শ টাকা। 

এদিকে, মৌসুমের শেষ সময়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র প্রভাবেও আমন ক্ষেত কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ফলন ভালো হওয়ায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানান চাষিরা। তবে ধানের বাজার দর নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।  
চাষিরা জানান, বর্তমান বাজারে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৬শ থেকে সাড়ে ৬শ টাকায়। উৎপাদনের খরচের তুলনায় বাজার দর কম থাকায় লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন তারা। এঅবস্থায় সরকারিভাবে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের দাবি জানান তারা। 

এদিকে, আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও ধানের বাজার ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক। এ অবস্থায় ধানের ন্যায্যমূল্য পেতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে ধান কেনার দাবি জানিয়েছেন এখানকার কৃষকরা। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কিশোর কুমার মজুমদার জানান, এ বছর আমনের আবাদ ভালো হয়েছে। তবে বুলবলের প্রভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আমনের উৎপাদনের উপর তেমন প্রভাব পড়বে না। 

কেএসটি

আরও পড়ুন