• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ১০:২৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ১০:২৫ এএম

নদী তীরের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়

নদী তীরের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় মেঘনা নদীর পাড়ের মাটি কেটে তৈরি করা হচ্ছে ইট। তীরের মাটি যাচ্ছে ভাটায় ভাটায়। একটি অসাধু চক্র নদীর তীর কেটে জেলার বিভিন্ন ইটভাটায় নিচ্ছে এ মাটি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে মেঘনাপাড়ের মাটি কাটা। এ যেন মাটি কাটার মহোসৎব।

নদীর তীর কেটে নেওয়ায় ভাঙন বেড়ে আরও হুমকিতে পড়ছে বিশাল এলাকা; প্রশস্ত হচ্ছে নদী। যে কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ। এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক। 

সরেজমিনে উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের নবীগঞ্জ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় অর্ধশত শ্রমিক নদীর তীরের মাটি কেটে ১০ থেকে ১২টি ট্রাক্টর-ট্রলি বোঝাই করে নিচ্ছে যাচ্ছে। এভাবেই গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহতভাবে মাটি কেটে নিতে দেখা গেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কমলনগর ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইটভাটার মালিক দালালদের মাধ্যমে স্থানীয় জমির মালিকদের মাটি বিক্রির জন্য প্রলুদ্ধ করছে। নদীতে জমি ভেঙে যাবে এ আতঙ্ক ছড়িয়ে নামে মাত্র টাকা দিয়ে  হাতিয়ে নিচ্ছে নদীর তীরের মাটি। 

এলাকাবাসী জানায়, কমলনগর নদীভাঙন কবলিত এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে এভাবে মাটি কেটে নিতে থাকলে ভাঙন আরও বাড়বে। বিলীন হবে বিস্তীর্ণ জনপদ। হুমকির মুখে পড়বে হাজারো পরিবার। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমলনগরের স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, নদীর তীর রক্ষা বাঁধের মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তর পাশ থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। যে কারণে শুষ্ক মৌসুমেও নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

কমলনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর বলেন, ইচ্ছে করে কেউ মাটি কেটে জমির পরিবর্তন করতে পারে না। কেউ যাতে নদীর তীর থেকে মাটি কাটতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা তৎপর থাকবো। 

কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী বলেন, একটি চক্র জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে মাটি কিনে ইটের ভাটায় দিচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে কমলনগর। এ ব্যাপারে স্থানীয়দের সচেতন হতে হবে। যারা মাটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের ব্যাপারে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেএসটি
 

আরও পড়ুন