• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ০২:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ০৩:০১ পিএম

আছে হাসপাতাল, নেই চিকিৎসাসেবা

আছে হাসপাতাল, নেই চিকিৎসাসেবা

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটির এখন বেহাল দশা। হাসপাতালটির বিশাল ভবন থাকলেও নেই কোন চিকিৎসা সরঞ্জাম। কর্তব্যরত ডাক্তাররাও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেন না। ফলে এখানে বসবাসরত প্রায় ১৮ হাজার নাগরিক সর্বদাই বঞ্চিত হচ্ছেন চিকিৎসা সেবা থেকে। হাসপাতালটিতে শুন্য পদ পূরণ করে চিকিৎসা সেবা সুনিশ্চিত করার দাবি এখানকার মানুষের।
 
১৯৯৫ সালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট দহগ্রাম আঙ্গরপোতা হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়। আর উদ্বোধনের দিন থেকেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বহুল কাঙ্ক্ষিত এই হাসপাতালটির কার্যক্রম। হাসপাতালটির আন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগ থাকলেও মূলত আন্তঃবিভাগে কোন কাজ হয় না। আর বহির্বিভাগে ডাক্তার সংকটসহ রয়েছে নানাবিধ সমস্যা। কাগজে কলমে ডাক্তার, নার্স সবই থাকলেও কার্যত জনবল সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে ১৮ হাজার লোকের চিকিৎসা সেবা। 

আন্তঃবিভাগ চালু না থাকায় হাসপাতালের অনেক মূল্যবান সরঞ্জাম অযত্ম আর অবহেলায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালটিতে সেবার নামে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাইনবোর্ড দেখা গেলেও বাস্তবে তাদের দেখা মেলে না। সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান দহগ্রাম আঙ্গরপোতা হাসপাতালের রোগী ভর্তির ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক চিকিৎসক, নার্সসহ মানুষের চিকিৎসা সেবা সুনিশ্চিত করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন দহগ্রাম আঙ্গরপোতা ছিটমহলের প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। 

দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, বাংলাদেশের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা হচ্ছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা। কিন্তু এখানকার মানুষ অত্যন্ত অবহেলিত, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবায় মারাত্মকভাবে পিছিয়ে রয়েছে এখানকার মানুষ। ১০ শর্য্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থাকলেও এখানে বলা যায়, কোন ধরনের চিকিৎসাসেবা নেই। বাধ্য হয়ে হয়ে অসুস্থ রোগীদের পাটগ্রাম কিংবা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি অবহেলিত এ জনপদের মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর হক্ষক্ষেপ কামনা করেন। 

দহগ্রামের বাসিন্দা বাবুল মিয়া (৪৮)  ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখানে কোন ধরনের চিকিৎসা হয় না। হাসপাতালে এসে চিকিৎসকের অভাবে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে অনেকে হয়ে উঠেন কিংকর্তব্য বিমূঢ়। বেশির ভাগ মানুষই টাকার অভাবে যেতে পারেন না ক্লিনিকে। আবার কেউ কেউ বাধ্য হয়ে সময় ও অর্থ ব্যয় করে পাটগ্রাম, লালমনিরহাট ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান চিকিৎসা নিতে। 

লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কাশেম আলী জানান, হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকা চিকিৎসক ও স্টাফদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। দহগ্রাম হাসপাতালটি পূর্ণ হাসপাতাল রূপে চালু রাখতে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষতে পত্র দিয়েছেন বলে জানান।

কেএসটি

আরও পড়ুন