• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ১০:১৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ১০:১৫ এএম

আজ ১১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস 

আজ ১১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস 

আজ ১১ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এইদিনে মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার কুষ্টিয়া জেলা শত্রু হানাদার মুক্ত হয়। চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের ৫ দিন আগেই স্থানীয়রা বিজয় নিশানা দেখতে পেয়েছিল। স্বজনের গলিত লাশ, কঙ্কাল, গণকবর আর সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের আর্তনাদ ভুলে সেদিন বিজয়ের আনন্দে মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করেছিল।

মূলত কুষ্টিয়া ছিল মুক্তিযুদ্ধের অস্থায়ী রাজধানী। এর ফলে পাক হানাদার বাহিনী কুষ্টিয়ার ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়েছিল। তবে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই পাক হানাদার বাহিনীও কুষ্টিয়ায় চরম প্রতিরোধের মুখে পড়ে। ৩০ মার্চ ভোররাতে মুক্তিবাহিনী কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পাক হানাদার ক্যাম্পে হামলা করে। সারাদিন চলা যুদ্ধে নিহত হয় অসংখ্য পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ১ এপ্রিল রাতের আধারে পাক বাহিনী কুষ্টিয়া ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথমবারের মতো শত্রু মুক্ত হয় কুষ্টিয়া। ১০ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়ার অন্তর্গত মুজিব নগরে সরকার গঠন হয়। এরপর থেকে দফায় দফায় প্রচণ্ড বিমান হামলায় দীর্ঘ ১৬ দিন পর আবার কুষ্টিয়া দখলে নেয় পাকবাহিনী। এভাবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৯ মাসজুড়েই কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় হানাদার পাকবাহিনীর সাথে মুক্তি বাহিনীর তুমুল লড়াই চলেছে। শুধুমাত্র কুষ্টিয়া জেলায় মুক্তিযুদ্ধকালে পাক হানাদাররা ৬০ হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা আর দুই হাজার মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করে। 

৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পর তিন দিক থেকে মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর যৌথ আক্রমণে একের পর এক বৃহত্তর কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকা হানাদার মুক্ত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১০ ডিসেম্বর রাতে পাকবাহিনী পালিয়ে ভেড়ামারা-পাকশী ঘাট হয়ে কুষ্টিয়া ত্যাগ করে। ১১ ডিসেম্বর পুরোপুরি মুক্ত হয় কুষ্টিয়া। এসব স্মৃতিচিহ্ন এখনও তার সাক্ষী হয়ে আছে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের বর্তমান সরকার কুষ্টিয়ার এসব স্মৃতিচিহ্ন ও কবর যথাযথভাবে রক্ষা করেছে। সেদিনের সেই বীর যোদ্ধা দেশের সূর্য সন্তানরা এখন আবাসিক সুবিধাসহ নিজেদের পুনর্বাসন চান।

কেএসটি

আরও পড়ুন