• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০১৯, ০৫:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১২, ২০১৯, ০৫:৪৭ পিএম

আহত অর্ধশতাধিক

ফরিদগঞ্জে সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সংঘর্ষ

ফরিদগঞ্জে সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সংঘর্ষ
সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ  -  ছবি : জাগরণ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের কারণে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা সভা পণ্ড হয়ে গেছে। উভয় পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমানের মাঝে বাগ্‌বিতণ্ডা হতেও দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬ রাউন্ড টিআরসেল নিক্ষেপ করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান, সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির কারণে মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা সভা স্থগিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সভায় উপস্থিত হওয়ার আগে এমপির অনুসারী ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পক্ষের সমর্থকেরা জড়ো হতে শুরু করে। এমপি উপজেলা পরিষদের উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ হামলা পাল্টা হামলা শুরু হয়।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন পুলিশের এসআই নাজমুল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারী জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম রিপন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর হোসেন মনির, ছাত্রলীগ নেতা জয়, হাবিব, কাশেম, রিয়াদ, হাসান, সাহেদ সুজন, নাছির কাইয়ুম।

এদিকে সাংসদ অনুসারী আহতরা হলেন পুতুল সরকার, আলাউদ্দিন, আলআমিন, রায়হান, মোহন মিজি, সৈকত, মিঠুন, নুর আল আমিন, সাগরসহ অন্তত ৫০ জন।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব জানান, উভয় পক্ষকে শান্ত করতে পুলিশ প্রথম থেকেই চেষ্টা করে। পরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও ডিবি পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, মাসিক সমন্বয় সভা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য নন এমন লোক এবং মাদক কারবারি পরিষদে উপস্থিত হওয়ায় এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।
অন্যদিকে সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, আমি আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভার নিমন্ত্রণ পেয়ে উপস্থিত হওয়ার পর উদ্দেশ্যমূলকভাবে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। ইউএনওর কার্যালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আমার সাথে রূঢ় আচরণ করেছে।

এনআই

আরও পড়ুন