• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০২:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০২:৪১ পিএম

আক্কেলপুর হানাদার মুক্ত দিবস আজ    

আক্কেলপুর হানাদার মুক্ত দিবস আজ    

আজ ১৩ ডিসেম্বর। আক্কেলপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল সান্তাহার হতে রেলপথ দিয়ে পাকবাহিনী আক্কেলপুর আক্রমণ করার প্রাক্কালে ট্রেন থামিয়ে প্রথমে ভদ্রকালী গ্রামে আরম্ভ করে অগ্নিসংযোগ। অগ্নিসংযোগ করে একের পর এক বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়। 

ওইদিন বিকালে পাকবাহিনী আক্কেলপুরে প্রবেশ করে। পাকবাহিনী রেল স্টেশনে ও মাদ্রাসায় ক্যাম্প স্থাপন করে। পাকবাহিনী বিভিন্ন গ্রামে অগ্নিসংযোগ মাধ্যমে নিরহ মানুষদেরকে আতঙ্কিত করে তাদের বাড়ি-ঘরে লুটপাট করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন দেশীয় দালাল, রাজাকার, আলবদরা।

আক্কেলপুর থেকে মানুষ পালিয়ে জীবন বাঁচাতে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়। সেই মুহূর্তে অঘোষিত থানার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৩শ’ ৩০ জন যুবক মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। শপথ নেন দেশ স্বাধীনের দৃঢ় প্রত্যয়ে। পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের ৯ মাসের যুদ্ধে অঘোষিত থানার ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। বগুড়ার পাইকার বংশের ছেলে যার নামে বগুড়ার শহীদ খোকন পার্ক প্রতিষ্ঠিত সেই খোকন আক্কেলপুরে শহীদ হন। 

শহীদ হন পাহাড়পুরের যুদ্ধে আক্কেলপুরের ফজলুল করিম সহ অনেকে। শহীদদের গণকবর এখানে  রয়েছে। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সকালে পাকসেনারা আক্কেলপুর থেকে পায়ে হেটে জয়পুরহাটের অভিমুখে পালিয়ে যায়। স্থানীয় রাজাকার দালালরা গা ঢাকা দেয়। বিকালেই মুক্তিবাহিনী দখল করে আক্কেলপুর। স্বাধীন হয় আক্কেলপুর। নতুন ইতিহাসের সৃষ্টি হয়। ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ এক সমুদ্র রক্তে রঞ্জিত হয়ে জন্ম হলো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মুক্তি আনন্দে উদ্বেল হল জনতা।

টিএফ
 

আরও পড়ুন