• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৩:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৩:৪৫ পিএম

বরিশালে হোটেল এরিনায় অভিযান, আটক ৬২

বরিশালে হোটেল এরিনায় অভিযান, আটক ৬২

বরিশাল নগরীর আবাসিক হোটেল এরিনায় অভিযান চালিয়েছে মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এসময় সেখান থেকে মদ্যপ অবস্থায় বিভিন্ন বয়সের ৬২ জনকে আটক করেন তারা। তবে, এসময় মদ বা অন্য কোন নেশা দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান রাত পৌনে ২টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল ইসলাম রাব্বি, সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী) রাসেল আহম্মেদ, কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামানসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সমিরন মণ্ডল জানান, ‘সদর রোডস্থ হোটেল এরিনা’র মদের বারের লাইসেন্স রয়েছে। তবে নিয়ম-নীতি না মেনেই অবৈধভাবে বার পরিচালনা করা হচ্ছিল।

এসময় সংবাদের ভিত্তিতে ‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কোতয়ালী মডেল থানার এসআই বশির আহমেদ, এসআই ফজলুল, এএসআই মাহবুব, এএসআই সুমন, এএসআই হুমায়ুন, এএসআই বিধান, এএসআই জুয়েল ও এএসআই রিয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ওই বারে অভিযান পরিচালনা করি।

সেখানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। বারের নিয়ম অনুযায়ী যাদের মদ্যপানের লাইসেন্স রয়েছে তারাই কেবল এরিনার মদের বারে মদ পান করতে পারবে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে আমরা ওই বারে যাদের পেয়েছে তাদের কারোর কাছেই কোন লাইসেন্স বা মদ পানের অনুমতি নেই। তাছাড়া সেখানে অপ্রাপ্ত বয়স্ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ এক সঙ্গে বসে মদ পান করছিল।

এসআই সমিরন মণ্ডল বলেন, ‘বারের মালিক বরিশাল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল আলম গুলজার। তিনি এই বারটির মালিক। যেভাবে মদ বিক্রির নিয়ম রয়েছে তা অনুসরণ করেনি বার কর্তৃপক্ষ। এ কারণে ঘটনাস্থলে মদ্যপ অবস্থায় থাকা বিভিন্ন বয়সি ৬২ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ঘটনাস্থলে থাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল ইসলাম রাব্বি বলেন, ‘আটককৃতর সংখ্যা অনেক। তাই এদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে। বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।’

তাছাড়া বারের মালিক এবং বার পরিচালনের বিষয়ে সকল বৈধ কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। যেহেতু বার কর্তৃপক্ষ নিয়ম মানেনি, তাই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল ইসলাম রাব্বি।

যদিও অভিযানে থাকা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘বারে আটক হওয়া ৬২ জন মদ্যপকেই সাজা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

টিএফ

আরও পড়ুন