• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ১১:০৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ১১:১২ এএম

সরিষা ফুলের হাসিতে রঙিন সিরাজদিখানের ফসলের মাঠ

সরিষা ফুলের হাসিতে রঙিন সিরাজদিখানের ফসলের মাঠ

সবুজ শ্যামল প্রকৃতি ও ষড় ঋতুর এই দেশে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বদলে গেছে ফসলের মাঠের চিত্র। ঋতু বৈচিত্র্যের এ খেলার ধারাবাহিকতায় এবার শীতে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য পাল্টে দিয়েছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নাধীন ফসলের মাঠের দৃশ্যপট।

উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় এ মৌসুমে ব্যাপক সরিষার চাষ করা হয়েছে। মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত ফসলের মাঠ। চারিদিকে এখন শুধু সরিষা ফুলের হলুদ রঙের বর্ণিল সমারোহ। মৌমাছির গুনগুন শব্দে ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে পদার্পণ এ অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই যেন মনোমুগ্ধকর এক মুহূর্ত। সকালের মিষ্টি রোদ আর বিন্দু বিন্দু শিশির ছুঁয়ে যায় সেই ফুলগুলোকে। সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে রঙিন এখন সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ।

জানা গেছে, সরিষা চাষে খরচ অনেক কম কিন্তু লাভটা বেশি হওয়ায় অনেকেই সরিষা চাষে আগ্রহী। এ মৌসুমে অনেক কৃষক সরিষা শাক ব্যবসায়িকভাবে উৎপাদন করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। সরিষার ক্ষেত হলুদ ফুলে যেন দিক দিগন্ত রাঙিয়ে দিয়েছে। হলুদ হাসিতে একাকার বিস্তীর্ণ মাঠ। প্রতিবছর সরিষার ফলন ভাল হওয়ায় বাড়ছে সরিষার চাষাবাদ। তাই চলতি মৌসুমে পাল্টে গেছে উপজেলার দিগন্ত জোড়া মাঠের চিত্রও। প্রকৃতি যেন নতুন রূপে হলদে শাড়ি পরা তরুণীর সাজে সজ্জিত হয়ে আছে। মাঠের পর মাঠ শুধু সর্ষে ফুলের হলুদ হাসিতে রাঙিয়ে দিয়েছে এ উপজেলার বাস্তব চিত্র।

সরেজমিনে সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের কৃষক হাবিব মিয়ার সাথে আলাপকালে জানা যায়, বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই তারা সরিষার বীজ বুনে থাকে। কম সময়ে এ ফসল কৃষক ঘরে তুলতে পারে দ্রুত। যে জমিতে কৃষক সরিষা বুনেছে এগুলোতে একসময় প্রচুর আলু আবাদ করতো বলে জানান তিনি। কিন্তু আলুতে তেমন লাভবান হচ্ছে না বিধায় এখন প্রায় আলুর জমিতে সরিষা বুনেছেন তারা। তিনি আরও বলেন, সরিষাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকলে এখানকার কৃষকরা আরো বেশি উপকৃত হতো।

এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, গতবছর সিরাজদিখান উপজেলায় ১ হাজার ৯শ পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। কম খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় প্রতি বছরই সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। বর্তমান মৌসুমে গত বছরের তুলনায় কিছুটা আবাদ কম হবে। তবে আমরা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল সরিষা আবাদের জন্যে সব সময়ই উৎসাহিত করে থাকি। উপযুক্ত বীজ নির্বাচন, সার ও কীটনাশক প্রয়োগে আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

কেএসটি

আরও পড়ুন