• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৮:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৮:৫৭ পিএম

বরযাত্রী খাওয়াতে না পারায় সংসার ভাঙল রিমার

বরযাত্রী খাওয়াতে না পারায় সংসার ভাঙল রিমার
১১ মাসের কন্যাশিশু হুমায়রা জান্নাতকে কোলে নিয়ে রিমা আকতার  -  ছবি : জাগরণ

দুই বছর সংসার হলো। জন্ম নিল একটি কন্যাসন্তানও। তবু বরযাত্রী খাওয়াতে না পারায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিবাহবিচ্ছেদ হলো রিমা আকতারের। এমনকি বিচ্ছেদের পর শ্বশুরালয়ে রেখে দেয়া হয় ১১ মাসের কন্যাশিশুটিও। তবে আদালতের নির্দেশে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় শিশুটিকে উদ্ধার করে মাকেসহ আদালতে পাঠানো হয়।

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের কোতোয়ালিঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেফায়েত উল্লাহ। তিনি জানান, দুই বছর আগে উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের কোতোয়ালিঘোনা এলাকার আব্দুল মালেকের নতুন বাড়ির সুলতান আহমেদের ছেলে সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ৮ লাখ টাকা কাবিনমূলে হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নের মো. ইউনুসের মেয়ে রিমা আকতারের বিয়ে হয়। বিয়ের ৬ মাসের মধ্যে বরযাত্রী খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরযাত্রী খাওয়াতে না পারায় প্রথম কাবিননামা বাতিল করে মোহরে ফাতেমির মাধ্যমে কমিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা কাবিননামা করা হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে রিমা আকতারকে নির্যাতন করে তার স্বামী।

এর মধ্যে ১১ মাস আগে জন্ম হয় শিশু হুমায়রা জান্নাতের। তার পরও নির্যাতন থামেনি। একপর্যায়ে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয় মোহরে ফাতেমির ধার্য কাবিনমূলে। ১ ডিসেম্বর স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্টাম্পের মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাদের। রেখে দেয়া হয় ১১ মাসের দুধের শিশু হুমায়রা জান্নাতকে। এ সময় শিশু হুমায়রা জান্নাতকে পাওয়ার জন্য রিমা আক্তার সবার হাত-পা ধরে শত চেষ্টা করলেও সন্তানকে দেয়া হয়নি। পরে ৪ ডিসেম্বর আদালতে একটি অভিযোগ দেন তিনি। আদালতের নির্দেশে রাউজান থানার পুলিশ রোববার শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় এনে মায়ের কোলে তুলে দেয়।

ওসি কেফায়েত উল্লাহ বলেন, বিয়ের সময় আসবাবপত্র নেয়ার পরও বরযাত্রী খাওয়াতে না পারায় ৮ লাখ টাকার কাবিন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা করা হয়। তার পরও বিবাহবিচ্ছেদ করে দেয়া হয় সালিশ বৈঠকে, যা বেআইনি।

গহিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাঁশি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিনবার সময় দিয়েছিলাম, এর পরও মেয়ে সংসার করার পক্ষে ছিল না। তাই মোহরে ফাতেমির কাবিননামামূলে বিবাহবিচ্ছেদ করা হয়। সন্তানকে নিতে না চাওয়ায় আমরা বাবার কাছে দিয়ে দিই।’

এনআই

আরও পড়ুন