• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯, ০৪:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯, ০৪:১৫ পিএম

৪ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে

৪ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে
শীতের দাপটে নাস্তানাবুদ পঞ্চগড়ের জনপদ  -  ছবি : জাগরণ

পঞ্চগড়ের অধিবাসীরা শীতের দাপটে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে। গত ৪ দিন ধরে এ জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। আজ শুক্রবারও (২৭ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখানে রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার পর সূর্যের দেখা মিললেও শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জেলা শহরসহ এর আশপাশ এলাকা কুয়াশায় ঢেকে ছিল। দুপুরের পর সূর্যের মুখ দেখা গেলেও সূর্যের তেমন তেজ ছিল না। গত এক সপ্তাহ ধরে অব্যাহতভাবে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। পাশাপাশি ঘন কুয়াশার চাদরে ছেয়ে গেছে মাঠঘাট প্রান্তর। কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষ। রাস্তাঘাটে লোকজন চলাচল কম। যানবাহনও চলাচল কমে গেছে। রাত থেকে কুয়াশা-বৃষ্টি পড়ছে। রাস্তাঘাট ভিজে গেছে। শীতের তীব্রতায় শহরের মানুষও খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

তীব্র কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহে খেটে খাওয়া মানুষ ও রিকশা-ভ্যানচালকরা দুর্ভোগে পড়েছেন। এককথায় তীব্র শীতে এখানকার মানুষ অবর্ণণীয় দুর্ভোগে পড়েছেন।

করতোয়া নদী থেকে পাথর সংগ্রহকারী শ্রমিক শাহিনুর ইসলাম বলেন, এর আগে সারা দিনে পাথর সংগ্রহ করে সেই পাথর ব্যবসায়ীদের কাছে সিএফটি (ঘনফুট) হিসেবে বিক্রি করে প্রায় সাত থেকে আট শ টাকা ইনকাম হতো। এখন দুই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি পানিতে নেমে থাকা যায় না। এখন দিনে মাত্র দেড় থেকে দুই শ টাকা ইনকাম হচ্ছে। সংসার চালানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া এভাবে পানিতে নেমে থাকলে প্রচণ্ড শীতে অসুখ-বিসুখেরও ভয় আছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রহিদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত ৪ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে তেঁতুলিয়ায়।

এদিকে শীত ও শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে এখন পর্যন্ত অর্ধশত রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে হাসপাতালে রোগী ভর্তির চেয়ে বহির্বিভাগে শীত ও শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনোয়ারুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জন শিশু ভর্তি হয়েছেন। শীতের তীব্রতা বাড়লে ভর্তির সংখ্যাও বাড়তে পারে।

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। সরকারিভাবে প্রায় ৪০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন