• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯, ০৯:২৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯, ০৯:২৮ এএম

জাহাঙ্গীরের জৈব সার এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে

জাহাঙ্গীরের জৈব সার এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে

বিদেশ নয় দেশেই কর্মের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব তা দেখিয়েছে জাহাঙ্গীর আলম। চাকরিরর পিছনে না ছুটে, পরিবারের বোঝা না হয়ে, নিজের প্রচেষ্টায় আজ তিনি অত্র অঞ্চলের দৃষ্টান্ত। এক সময় যাকে ভবঘুরে বলে সম্মোধন করতো সেই যুবকই আজ বেকারদের যোগাচ্ছে কর্মসংস্থান। জাগাচ্ছে আশার আলো। 

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২০১৭ সালে তার এক সহযোগী নাছির উদ্দিনকে সাথে নিয়ে প্রথমে জৈব সার তৈরি শুরু করে। চেম্বার পদ্ধতিতে ট্রাইকো ডারমা মিশ্রিত জৈব সার তৈরিতে গবর, মুরগির বিষ্টা, বিভিন্ন লতাপাতা ও পচনশীল আবর্জনা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মিশ্রণগুলো চেম্বারে ২১ দিন সংরক্ষণ করার পর তা রোদে শুকিয়ে মেশিনে ভেঙ্গে নেটিং করা হয়। পরে এ সার দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করার জন্য ১০ কেজি ও ৪০ কেজির বস্তায় প্যাকিং করা হয়। জৈব সার এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। সিলেট, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা এ জৈব সার সরবরাহ করে বিক্রয় করছে। 

তিনি আরও বলেন, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল হতে অনুমতি নিয়ে প্রথমে আমরা ২ জন শ্রমিক নিয়ে জৈব সার তৈরি করতে শুরু করি। এখন ১২ জন শ্রমিক নিয়ে প্রতি মাসে ৪ মেট্রিক টন জৈব সার তার কারখানায় উৎপাদন হচ্ছে। ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে তিনি ৪০ হাজার টাকার এ জৈব সার বিক্রয় করা হয়।

স্থানীয় নাজমূলসহ একাধিকের সাথে আলাপকালে জানাগেছে, বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের রিধইল গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর আলম জৈব সার তৈরি করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা তার কাছ থেকে জৈব সার কিনে এখন লাভবান হয়েছে এবং ফলন ভাল হয়েছে। 

কৃষক বাচ্চু মিয়া জানান, জাহাঙ্গীর আলমের তৈরি জৈব সার আমরা ব্যবহার করেছি এবং এর সুফলও ভোগ করছি। আমাদের কৃষি জমিতে এই সার এখন এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক বলেন, জৈব সার তৈরি করে এরইমধ্যেই জেলা ব্যাপী পরিচিত হয়ে উঠেছে জাহাঙ্গীর আলম। জৈব সার মাটির পুষ্টিগুন বৃদ্ধি করে। এ সার ব্যবহারে মাটির গঠন উন্নত হয় এবং উৎপাদিত ফসলের গুণগতমান ভালো হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তাকে সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

কেএসটি