• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২০, ০৬:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৬, ২০২০, ০৬:২৩ পিএম

জন্মদিনের দাওয়াতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী

জন্মদিনের দাওয়াতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে (নয়নপুর) মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে জন্মদিনের দাওয়াত খেতে গেলে তিন বন্ধু এক কিশোরীকে স্প্রিটের সাথে কৌশলে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে খাওয়ানোর পর দল বেঁধে ধর্ষণ করে। উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের নয়নপুর বাজারের মাহফুজা বেগমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে তিন বন্ধুর নামে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলো নয়নপুর এলাকার ধনুয়া গ্রামের বাদশার বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহরাব হোসেনের ছেলে শরিফ (১৮), ফরিদপুর গ্রামের নয়নপুর বাজারের মাহফুজা বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া লিটন মিয়ার ছেলে সুজন (১৯), শরীফ (২০) পিতা অজ্ঞাত এবং নয়নপুর এলাকার হারুন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া হানিফার মেয়ে উর্মি আক্তার (১৮)।

ধর্ষিতার মা জানান, তারা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মাহাম্মদ নগর গ্রামের বাসিন্দা। শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায় ভাড়া থেকে স্বামী দিনমজুর ও তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তার মেয়ে স্থানীয় শিশু শিক্ষা মডেল একাডেমির অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাশের বাড়ির উর্মি তাকে মাহফুজা বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া সুজনের জন্মদিনের দাওয়াতে নিয়ে যায়। দাওয়াত খাওয়ার পর তাকে কোমল পানীয় স্প্রিট খেতে বললে সে নিষেধ করে। জোর করে তাকে স্প্রিট খাওয়ালে সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তারা কিশোরীকে বাড়ি থেকে একটু দূরে ঝোপে নিয়ে যায়। সেখানে উর্মির সহযোগিতায় তিন বন্ধু মিলে তাকে ধর্ষণ করে।

এদিকে সন্ধ্যা সাতটায় বাসায় ফিরে মেয়েকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজি শেষে রাত ১০টায় বাড়ি ফেরার সময় বাড়ির গেটে অচেতন অবস্থায় তার মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তারেকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা করেন। পরদিন বুধবার (১৫ জানুয়ারি) স্কুলে গিয়ে সে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তার মা তাকে বাসায় নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসা করলে তাকে অচেতন করে ধর্ষণের কথা জানায় সে।

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল সাকিব জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় মেয়েটির মা তার মেয়েকে থানায় নিয়ে এসে অভিযোগ দিলে রাতেই সহযোগী উর্মিকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামিরা ঘটনার পর থেকে পলাতক। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন