• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২০, ০৮:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৭, ২০২০, ০৮:১৫ পিএম

বাগাতিপাড়ায় স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ, কনের বাবার দণ্ড

বাগাতিপাড়ায় স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ, কনের বাবার দণ্ড
বাগাতিপাড়ায় বাল্যবিবাহের খবরে কনের বাড়িতে ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল (বামে)  -  ছবি : জাগরণ

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে নবম শ্রেণির ছাত্রী জেসমিন খাতুন। জন্মনিবন্ধন জালিয়াতির মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে বিয়ে দেয়ার চেষ্টায় কনের বাবাকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার জামনগর ঘোষপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া জেসমিন খাতুনের বিয়ে তার বাবা আব্দুল খালেক একই উপজেলার গাঁওপাড়া গ্রামে ঠিক করেন। শুক্রবার রান্নাবান্নাসহ বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন ছিল। বরযাত্রীরাও বিয়েবাড়িতে হাজির হন।

এদিকে বাল্যবিবাহের সংবাদ পেয়ে ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুনকে সাথে নিয়ে জামনগরে কনের বাড়িতে হাজির হন। সেখানে জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি করে বয়স বাড়ানোর বিষয়টি ধরা পড়লে জেসমিন খাতুনের বিয়ে বন্ধ করে দেন ইউএনও। সে সময় কনের বাবা আব্দুল খালেককে আটক করেন এবং সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পালের আদালত আব্দুল খালেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেন। পরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলে দণ্ডিত আব্দুল খালেককে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এনআই

আরও পড়ুন