• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২০, ০৪:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৮, ২০২০, ০৪:৩৮ পিএম

টঙ্গীতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যা

টঙ্গীতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যা
নিহত গৃহবধূ সাথী আক্তার - ছবি : জাগরণ

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর শিলমুন এলাকায় শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) যৌতুকের টাকা না পেয়ে সাথী আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

সাথী আক্তার যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানার শাখারী পোঁতা গ্রামের মো. বাবলু রহমানের মেয়ে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সাথীর বাবা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে মোনতাজ উদ্দিনের ছেলে সারোয়ার হোসেন বাবুর (২৯) সাথে সাথী আক্তার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকে স্বামী সারোয়ার হোসেন বাবু তার বাবা মোনতাজ উদ্দিন, মা সালেহা বেগম, বড় ভাই সালাহ উদ্দিনকে নিয়ে টঙ্গীর শিলমুন পূর্বপাড়ার মাহাতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।

দীর্ঘদিন যাবৎ স্বামীসহ পরিবারের লোকজন সাথীর বাবা ও তার পরিবারের লোকজনের কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। যৌতুকের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় সাথী আক্তারের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুর মিলে তাকে প্রায়ই শারীরিক ও মাননিকভাবে নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে মেয়ের সুখের কথা ভেবে বাবা বাবলু রহমান তার মেয়ের জামাই সারোয়ার হোসেন বাবুকে ২ লাখ টাকা দেন। পরে বাকি আরো ৩ লাখ টাকার জন্য সাথীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয়।

শুক্রবার রাতে সারোয়ার হোসেন বাবুসহ তার পরিবারের অপর ৩ জন মোনতাজ উদ্দিন, সালেহা বেগম ও সালাহ উদ্দিন মিলে সাথী আক্তারের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় খবর দিলে থানার এসআই শুভ মণ্ডলসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শুক্রবার রাতেই মামলা করা হয়।

নিহত সাথীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে মামলার বাদী মো. বাবলু রহমান এজাহারে উল্লেখ করেন। ঘটনার সাথে জড়িতরা সবাই পলাতক। টঙ্গী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এনআই

আরও পড়ুন