• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২০, ০৬:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২০, ২০২০, ০৬:২৩ পিএম

আচরণবিধি লঙ্ঘন

ঢাকা সিটি নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যক্রম দৃশ্যমান নয় : ইসি মাহবুব

ঢাকা সিটি নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যক্রম দৃশ্যমান নয় : ইসি মাহবুব
মাহবুব তালুকদার - ফাইল ছবি

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যক্রম দৃশ্যমান নয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। সোমবার (২০ জানুয়ারি) এক আন-অফিসিয়াল (ইউও) নোটে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী, ঢাকা উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেনকে ইউও নোটটি পাঠানো হয়।

ইউও নোটে তিনি বলেছেন, ইতোপূর্বে ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রদত্ত আমার ইউও নোটে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনি প্রচারণা বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বন্ধ করার জন্য একটি পরিপত্র জারির অনুরোধ জানিয়েছিলাম। ইতোমধ্যে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, নির্বাচনে সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। আরেকজন সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা শহরে রাজনৈতিক বক্তৃতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ সকল কার্যক্রম সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের সুস্পষ্ট নির্দেশনাসহ পরিপত্রটি জারির আবশ্যকতা রয়েছে বলে মনে করি।

আজ ২০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রথম আলো পত্রিকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে, যার শিরোনাম ‘ফিরে দেখা ২০১৯ : মশক নিয়ন্ত্রণ’। এই বিজ্ঞাপনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিগত বছরে মশক নিয়ন্ত্রণের নানাপ্রকার ফিরিস্তি দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপনটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সদ্যবিদায়ী মেয়রের পক্ষে তার সাফল্যের প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই প্রচারণার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

প্রার্থীদের হলফনামা নিয়ে নানা অভিযোগ আছে- হলফনামা যাচাইয়ের কোনো উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এতে হলফনামা প্রদানের বিধান প্রশ্নের সম্মুখীন, যাতে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট নিরসন সম্ভব হবে না। কমিশন আইনানুগভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারলে আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সম্পর্কে জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক হবে এবং কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা জনসমক্ষে প্রতিভাত হবে।

উল্লিখিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এইচএস/ এফসি