চুয়াডাঙ্গায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় ভুয়া কাজিকে দেড় মাস ও স্কুলছাত্রীর দুলাভাইকে এক মাস জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া বাল্যবিবাহ করতে যাওয়া নাবালক বরকেও থানাহাজতে নিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের আরমপাড়া এলাকায় কাজির বাড়িতে বিয়ে পড়ানোর সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান এ অভিযান পরিচালনা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের আরমপাড়ার মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে ভুয়া কাজি ও একাধিক বাল্যবিবাহ পড়ানোর দায়েরকৃত মামলার আসামি নাজমুল হক হীরা (৫৮)। অপরজন কনের দুলাভাই চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর আলুকদিয়া খেজুরবাগান পাড়ার মৃত হবি মিয়ার ছেলে ফরজ আলী (৩০)। নাবালক বর মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার হিজলবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ভাটাশ্রমিক শরিফকে (১৫) থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতে পারেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের আরামপাড়ায় ভুয়া কাজি নাজমুল হক হীরার বাড়িতে একটি বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার পুলিশ ও শহর ফাঁড়ি পুলিশের সহায়তায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

পুলিশ ও প্রশাসনের উপস্থিতি দেখে বর ও কনের আত্মীয়স্বজন পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে আটক হন বর, কনে, কনের দুলাভাইসহ ভুয়া কাজি। পরে ২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ নিধন আইনের ভিন্ন ভিন্ন ধারায় কাজিকে দেড় মাস এবং কনের দুলাভাইকে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এদিকে বাল্যবিবাহ করতে যাওয়ার অপরাধে নাবালক বর শরিফকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পরে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পাওয়া ওই স্কুলছাত্রীকে তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়। আটক হওয়া বরের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এনআই