• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২০, ০৭:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২১, ২০২০, ০৭:৫৪ পিএম

কোম্পানীগঞ্জে স্পিরিট পানে মৃত্যুর ঘটনায় ৪ জনের লাশ উত্তোলন

কোম্পানীগঞ্জে স্পিরিট পানে মৃত্যুর ঘটনায় ৪ জনের লাশ উত্তোলন
কবর থেকে তোলা হচ্ছে স্পিরিট পানে মারা যাওয়া একজনের লাশ  -  ছবি : জাগরণ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রেকটিফাইড স্পিরিট সেবনে ৬ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা ৪ ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল খালেক (৭০) ও বসুরহাট পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুক লিটনের (৫২) মরদেহ পারিবারিক কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়।

এর আগে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের ফয়েজ আহম্মদের ছেলে মহিন উদ্দিন (৪২) ও একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত রইসুল হকের ছেলে সবুজের (৪৪) লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ও পরের দিন সকালে বসুরহাট বাজারের রফিক হোমিও হলের স্পিরিট পান করে একে একে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রফিক হোমিও হলের মালিক সৈয়দ জাহেদ উল্যাহ (৬৭) ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়মকে ২৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে গ্রেফতার করে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ। পরে স্থানীয় শাহজাহান সাজু নামের এক ব্যক্তি রফিক হোমিও হলের মালিক ও তার ছেলেকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করায় আদালতের নির্দেশে মৃত্যুর ৩ মাস ২৫ দিন পর চারজনের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই সময়ে নুরনবী মানিক ও রবি লাল দে নামের আরো দুজনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন ও সৎকার করা হয়েছিল।

লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান ও কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন।

উল্লেখ্য, স্পিরিট পানে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত রফিক হোমিও হলের মালিক হোমিও ডাক্তার সৈয়দ জাহেদ উল্যাহ ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়ম নোয়াখালী জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।

এনআই

আরও পড়ুন