• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২০, ০৯:১৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৬, ২০২০, ০৯:২১ এএম

রাণীনগরে চাষ হচ্ছে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ

রাণীনগরে চাষ হচ্ছে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় পরীক্ষামূলক শীতকালীন বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ শুরু হয়েছে। প্রথমবারে ভাল ফলন পেয়ে সফল স্কোয়াশ চাষী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে শিক্ষিত বেকার যুবক সৌরভ খন্দকার।  

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্কোয়াশ মূলত ইউরোপের একটি শীতকালীন সবজি। এটি মিষ্টি কুমড়ার মতো সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। বেলে দো-আঁশ মাটিতে স্কোয়াশ চাষ ভাল হয়। প্রতিটি স্কোয়াশ গাছ রোপণের পর থেকে প্রায় আড়াই মাসে ১৪ থেকে ১৫টির মতো ফল ধরে। এটি অনেকটা বাঙ্গির মতো দেখতে ও মিষ্টি কুমড়ার স্বাদে পুষ্টিকর একটি সবজি। স্কোয়াশ উপজেলায় প্রথমবারের মতো চাষ শুরু হলেও বাজারে এর চাহিদা ও দাম ভালো হয়েছে। এলাকায় স্কোয়াশ সবজি নতুন হওয়ায় এই  চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ও দেখতে প্রতিদিনই সবজি ক্ষেত দেখতে ভীড় করছেন অনেকেই।   

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার সিম্বা গ্রামের আবু রায়হান খন্দকারের শিক্ষিত বেকার ছেলে সৌরভ খন্দকার ইউটিউবে স্কোয়াশ চাষের একটি প্রতিবেদন দেখে বগুড়া জেলা শহরের একটি দোকান থেকে ১শ গ্রাম বীজ কিনে বাড়ির খলিয়ানে বপন করেন। প্রায় ৩ কাঠা জমিতে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে চারা রোপণের প্রায় ৩৫ দিনের মধ্যেই গাছে একাধিক স্কোয়াশ ফল ধরতে শুরু করে। স্কোয়াশের ওজন প্রায় ১কেজি হতেই স্থানীয় বাজারে বিক্রি শুরু করেন সৌরভ। বর্তমানে বাজারে স্কোয়াশ ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 
৩ শতাংশ জমিতে সবজির পরিচর্যা, বীজ ও সার ক্রয়সহ এখন পর্যন্ত সৌরভের প্রায় ৩-৪শ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে তার স্কোয়াশ ক্ষেতে প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি গাছ রয়েছে। নতুন বিদেশি সবজি হিসেবে ফলন ও বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় খুশি সৌরভ। স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে চাষকৃত স্কোয়াশ সবজিতে রোগ-বালাইয়ের তেমন আক্রমণ না হওয়ায় এবং স্বল্প খরচে ভালো ফলন পাওয়ায় স্থানীয় অন্যান্য চাষীও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বিদেশি এই সবজি চাষের দিকে। আগামীতে সৌরভ এই সবজি চাষের পরিধি আরো বাড়াবেন বলে জানান।   

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সৌরভ স্কোয়াশ চাষে একজন সফল ব্যক্তি। অল্প জায়গায় ও কম পরিশ্রমে অধিক লাভজনক একটি সবজি স্কোয়াশ। আমরা এই সবজি চাষে সৌরভকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি। আগ্রহী অন্য যে কেউ এই সবজি চাষে আমাদের কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পাবেন। এটি যেহেতু শুধুমাত্র শীতকালীন একটি সবজি তাই এর বাজার সবসময় অনেক ভালো থাকবে। আমার আশা এই সবজি চাষে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন।

এফসি