• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২০, ০৮:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৯, ২০২০, ০৮:১৫ পিএম

দুই শিক্ষিকার মারামারি, অন্তঃসত্ত্বা মেয়রপত্নী হাসপাতালে

দুই শিক্ষিকার মারামারি, অন্তঃসত্ত্বা মেয়রপত্নী হাসপাতালে
মেয়রপত্নী ও সহকারী শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনু  -  ছবি : জাগরণ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে গন্ডগোহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষিকার মারামারিতে আহত হয়েছেন মেয়রপত্নী ও সহকারী শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনু। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রাখীদেবী ভাদুড়ী বলেন, সহকারী শিক্ষিকা সামসুন্নাহার রিনা ও নুরজাহান আক্তার মিনু সম্পর্কে দুজন আপন জা হোন। দীর্ঘদিন থেকে তাদের পারিবারিক বিরোধের জেরে দুই শিক্ষিকার মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকে। আমি বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বরং তাদের মধ্যে আক্রোশ বেড়ে যায়। সে সূত্রে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে টিফিন চলাকালে ওই দুই শিক্ষিকার মধ্যে মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে সহকারী শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনু মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে স্কুলের সভাপতি ও শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনুর স্বামী মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ‘আমি যে এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, সেটা মানতে চান না সহকারী শিক্ষিকা সামসুন্নাহার রিনা ও তার স্বামী আমার বড় ভাই আব্দুর রউফ। তারা প্রতিনিয়ত স্কুলে একক প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালান। বিষয়টি আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও আইনশৃঙ্খলা সভায় একাধিকবার বলেছি। কিন্তু তারা কোনো সুরাহা করছে না। ওই শিক্ষিাকা ও তার স্বামীর অপকর্মের বিষয়টি আমার স্ত্রী প্রতিবাদ করলেই তারা আমার স্ত্রীকে সার্বক্ষণিক শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এর মধ্যে মঙ্গলবার আমার ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে সবার সামনে ব্যাপক মারধর করেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে চিকিৎসকরা তার গর্ভের বাচ্চা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। আমি দোষীদের বিচার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা সামসুন্নাহার রিনার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ মামুন অর রশিদ বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে দুই শিক্ষিকার মধ্যে হাতাহাতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘গন্ডগোহালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষিকার মধ্যে মারামারির ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। সহকারী শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনু অপর এক শিক্ষিকা ও তার স্বামীকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এনআই

আরও পড়ুন