• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০, ০৫:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০, ০৫:২৩ পিএম

কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার রাতভর ধর্ষণ

কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার রাতভর ধর্ষণ
কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা বনি আমিন  -  ছবি : জাগরণ

বরিশালে এক কলেজছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কুয়াকাটার একটি হোটেলে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জনক বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বনি আমিনের বিরুদ্ধে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ধর্ষণ শেষে কিশোরীকে ঝালকাঠিতে তার এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে পালিয়ে যান তিনি।

এ ঘটনায় বরিশাল মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানায় বনি আমিনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বরিশালে নিয়ে আসে।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা বনি আমিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির ইস্যু কেলার্ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এবং বরিশাল নগরীর কাশিপুর গণপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। ধর্ষিতা তরুণী সরকারি বরিশাল কলেজের ছাত্রী এবং উজিরপুরের বাসিন্দা।

ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা বনি আমিন। আর ধর্ষিতা কলেজছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার ক্লাস শেষে নিজের বাড়ি উজিরপুরের উদ্দেশে রওনা হয়ে শহরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় পৌঁছান। এ সময় পূর্বপরিচিত বনি আমিন তাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে ভয়ভীতি দেখিয়ে কুয়াকাটা সৈকতে নিয়ে যান বনি আমিন।

পরে সেখানকার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করেন। ঘটনার রাতে কলেজছাত্রীর মা খাদিজা বেগম মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ করেন বরিশাল মহানগরীর বিমানবন্দর থানায়। বিষয়টি জানতে পেরে বনি আমিন ওই কলেজছাত্রীকে ঝালকাঠি জেলা শহরে তার আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যান।

অভিযুক্তর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বনি আমিনের ভাতিজির বান্ধবী ওই ছাত্রী। তারা একই কলেজে এক ক্লাসে লেখাপড়া করেন। সেই সুবাদে তাদের বাসায় যাওয়া-আসা থেকে পরিচয় হয় বনি আমিনের সঙ্গে। বান্ধবীর সম্পর্কের সূত্র ধরে তাকে চাচা বলে সম্বোধন করেন ওই কলেজছাত্রীও।

কলেজছাত্রীর পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব থেকেই নথুল্লাবাদ এলাকায় একটি প্রাইভেট কার নিয়ে ওত পেতে ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা ও ববি কর্মচারী বনি আমিন। এর আগে ছাত্রীর সেলফোনে কল করে বরিশালে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হন বনি। পরে বাড়ি যাওয়ার পথে নথুল্লাবাদে বাস কাউন্টারের সামনে থেকে তাকে জোর করে গাড়িতে তোলেন।

এ প্রসঙ্গে মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ বিন আলম জানান, কলেজছাত্রীর মায়ের করা অভিযোগটিই মামলা হিসেবে রুজু হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এদিকে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রজ্জাক বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এটা সত্যিই খুব ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা।’ ছাত্রলীগের অভিযুক্ত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বনি আমিনকে যাতে বহিষ্কার করা হয়, সে বিষয়ে কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এনআই

আরও পড়ুন