চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সাগর উপকূলে আমদানি করা একটি স্ক্র্যাপ জাহাজে পাঁচ দিন আটকে থাকার পর চীনের সেই ১৭ নাবিক দেশের পথে রওনা দিয়েছেন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দেন তারা।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে চীনের সেই ১৭ নাবিককে জাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হয় বলে জানান সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায়।
তিনি জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের লালবেগ সাগর উপকূলে জাহাজ থেকে নামিয়ে মাইক্রোবাসে করে নাবিকদের চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানো হয়। একটি বিমানে করে প্রথমে তারা ব্যাংককে যাবেন। এরপর চীনে পৌঁছাবেন।
ইউএনও বলেন, ঢাকায় চীনের দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এক বার্তায় জানানো হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সাগর উপকূলে একটি জাহাজে আটকে থাকা ১৭ চীনা নাবিক বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংস্থা ও চীনা দূতাবাসের সহায়তায় বুধবার রাতে দেশে ফিরছেন। করোনাভাইরাস ইস্যুতে চীনাদের জন্য বাংলাদেশের অন অ্যারাভাইল ভিসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তারা জাহাজে আটকা পড়েন। এ কারণে তারা দেশে ফিরতে পারছিলেন না।
ইউএনও আরো জানান, গত ২০ জানুয়ারি জাপানের পতাকাবাহী প্রায় ৯ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ওজনের ইউনি হারভেস্ট নামের ওই কার্গো জাহাজটি আসে চীনের উইফং বন্দর থেকে। ৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে জাহাজটি সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের লালবেগ শিপ ইয়ার্ডে তোলা হয়।
জাহাজটিতে ১৭ জন চীনা নাবিকের সাথে অন্য দেশের আরো নাবিক ছিলেন। জাহাজটি নোঙর করার পর অন্য দেশের নাবিকরা নিচে নামলেও করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে চীনের নাবিকদের নিচে নামার ঝুঁকি নেননি আমদানিকারক শিপ ইয়ার্ড মালিকরা।
পরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নাবিকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে তাদের দেহে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ নেই। এর পরও তাদের জাহাজেই থাকতে হয়।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, স্ক্র্যাপ জাহাজ কূলে ভেড়ানোর পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে নাবিকদের নিজ দেশে পাঠানো হয়। ল্যান্ডিং অনুমোদনের পর বন্দর কর্তৃপক্ষ বিদেশ থেকে আসা নাবিকদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেন। করোনাভাইরাস না থাকার কথা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানালেও ওই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় তারা জাহাজে ছিলেন।
এনআই