• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৬:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৬:৪৮ পিএম

লালে সেজেছে গোলাপ গ্রাম

ভালোবাসা দিবসে কোটি টাকার টার্গেট গোলাপ চাষিদের

ভালোবাসা দিবসে কোটি টাকার টার্গেট গোলাপ চাষিদের
গোলাপের সমাহারে সেজেছে সাভারের বিভিন্ন অঞ্চল  -  ছবি : জাগরণ

লালে সেজেছে সাভারের গোলাপ গ্রাম। সবুজ শ্যামলের প্রকৃতির অপরূপ সাজসজ্জায় ঢাকার সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের শ্যামপুর, আক্রাইন, সাদুল্লাপুর মৈস্তাপাড়া, বাগ্নিবাড়ি, সামাইর, কালিয়াকৈর, ভবানীপুর, রাজারবাগ, নয়াপাড়া, খাগান, কমলাপুরসহ সাভারের বিভিন্ন অঞ্চল সেজেছে গোলাপের সমাহারে। এই গোলাপ চাষে ভাগ্য বদলেছে অনেক ফুল চাষির।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাভারের বিভিন্ন গোলাপ চাষির সাথে কথা বলে জানা যায়, পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে কয়েক কোটি টাকার ফুল বিক্রির টার্গেট নিয়েছেন তারা।

গোলাপ চাষি রুবেল আলী জানান, সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে মিরিন্ডা জাতের গোলাপ চাষের উপযোগী। উর্বর ও নিষ্কাশিত জমিতে গোলাপ চাষ অধিকতর লাভজনক বলে জানান তিনি। তাই বৃষ্টির পরিমাণ ঠিক থাকায় গোলাপ চাষের আবাদ ভালো হয়েছে। তবে সহজ শর্তে অন্য চাষিদের জন্য ঋণসুবিধা ও কীটনাশক-জাতীয় সারের ব্যবস্থা থাকলেও গোলাপ চাষিদের এসব সুযোগ-সুবিধা নেই । তাই গোলাপ চাষিদের উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি সরকারের কাছে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান ও বিভিন্ন সারের মূল্য হ্রাসের দাবি জানান।

বাগান থেকে গোলাপ ফুল তুলছেন এক কৃষক  -  ছবি : জাগরণ

অন্যদিকে বাগ্নিবাড়ি এলাকার তরুণ গোলাপ চাষি অভি জানান, পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য ফুলের চাহিদা রয়েছে বেশি। সারা দিন চাষিরা ফুল কাটার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ মৌসুমে চাষিরা গত বছরের তুলনায় অনেকটা ভালো দাম পাচ্ছেন। তাই ফুলের চাহিদা অনুসারে কয়েক কোটি টাকার ফুল বিক্রি হতে পারে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে সাভারে গড়ে উঠেছে তিনটি গোলাপের হাট। সন্ধ্যা হলেই গোলাপ চাষি, পাইকারি ক্রেতা, খুচরা ফুল বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পদচারণে হাটগুলো সরগরম হয়ে ওঠে।

মৈস্তাপাড়া এলাকায় গোলাপের হাটে শাহবাগের পাইকারি ফুল বিক্রেতা করিম জানান, এবার ফুলের চাহিদা বেশি। পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রচুর পরিমাণ ফুল বেচাবিক্রি হতে পারে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে সাভার উপজেলার কৃষি অফিসার নাজিয়াদ আহমেদ জানান, নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত গোলাপের উত্তম ফলন পাওয়া যায়। এবার সাভার উপজেলায় গোলাপের আবাদ ভালো হয়েছে এবং কৃষকরা লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।

এনআই

আরও পড়ুন