• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০, ০৫:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০, ০৫:৫৪ পিএম

ইউএনওর আচরণে ক্ষুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া বর্জন 

ইউএনওর আচরণে ক্ষুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া বর্জন 
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার - ছবি : জাগরণ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়ে ফিরে গেছেন দেশের বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। একইসঙ্গে বর্জন করেছেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শহীদ মিনারে ফুল প্রদানসহ সকল কর্মসূচি।  

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) একুশের প্রথম প্রহরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই বিষয়টি টপ অব দ্য টাউনে পরিণত হয়। 

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে উপজেলা প্রশাসনের পর মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিটি জাতীয় দিবসে শহীদ মিনার এবং স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ হয়। কিন্তু এবারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন উপজেলা প্রশাসনের পর বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশকে ২ নম্বর এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ৩য় নম্বর করে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর কথা বলেন। এমন ঘোষণার পর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ মিনার ত্যাগ করে ফুল দেয়া বর্জন ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডার কার্যালয়ে চলে আসেন। 

মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম, সলেমান আলীসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ইউএনও সাহেবের নতুন নিয়ম আমরা মানি না। এ নিয়মে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কোনোদিন মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করে দেখেননি। আমরা শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা বর্জন করলাম। আগামী রোববার আমরা ইউএনওর বিরুদ্ধে কর্মসূচিগ্রহণের জন্য সভার আহ্বান করেছি। 

মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেননি শহীদ মিনারে। 

রাত সাড়ে ১২টায় সময় ইউএনও খায়রুল আলম সুমন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কার্যালয়ে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের পুনরায় ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে বলেন। একপর্যায়ে ইউএনওকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কার্যালয়ে রেখে বাড়িতে চলে যান মুক্তিযোদ্ধারা। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যস্থতায় মুক্তিযোদ্ধার গুটি কয়েক সন্তান রাত ১টায় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। 

উপস্থিত সুধীজনেরা জানান, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের বীর সন্তান। তাদের অগ্রাধিকার সবার আগে। এমনটা করা ইউএনওর উচিত হয়নি। 

বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এন এম নুরুল ইসলাম বলেন, মুজিব বর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্ব না খুবই নিন্দনীয় কাজ। আশা করছি বিষয়টি তদন্ত করবে জেলা প্রশাসন। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন তাৎক্ষণিক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। পরে শুক্রবার তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি সাড়া দেননি। 

এফসি