• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০, ০৭:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০, ০৭:২৬ পিএম

ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে মানুষের দ্বারে যাবেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী

ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে মানুষের দ্বারে যাবেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী

সুষ্ঠু ভোট ও নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়া মানুষের প্রত্যাশা। তাই ভোটের দিন কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নৌকা প্রতিকের ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও প্রচারণার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। 

যত বেশি মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবে, নৌকার জয় ততই তরান্বিত হবে বলে মনে করেন তিনি। নির্ভয়ে-নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাররা যাতে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন সেজন্য দলের নেতাকর্মীদের সচেতনতা ও কর্মতৎপর থাকার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহীনিকে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সার্বিক সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়পত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী সেলিনা খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহারিয়া খান বিপ্লব, পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে এম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

স্মৃতি বলেন, উপ-নির্বাচনে প্রত্যেক কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাই। ভয়ভীতি নয়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে সবাইকে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহবান জানাব। পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাবেন। প্রত্যেক নেতাকর্মী বাড়িবাড়ি গিয়ে ভোটারদের বুঝাবেন। উৎসাহ-উদ্দীপনা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন নেতাকর্মীরা।

উম্মে কুলসুম স্মৃতি আরও বলেন, ৩৬ বছর সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা উন্নয়ন বঞ্চিত ছিলো। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে আসে। গত ১০ বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্রিজ-কালভার্টসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে দুই উপজেলাতে। উন্নয়নের স্বার্থেই নৌকা প্রতিকেই ভোট দিবে জনগণ। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশা প্রকাশ করে স্মৃতি বলেন, দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আমি। দুই উপজেলার আ.লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে আছেন। এমপি নির্বাচিত হয়ে সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন ও জনকল্যাণে কাজ করবো।

এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে উম্মে কুলসুম স্মৃতি ছাড়াও আরও চারজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তারা হলেন বিএনপির অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক, জাতীয় পার্টির মইনুল রাব্বী চৌধুরী, মঞ্জুরুল হক সাচ্চা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি।

গত ২৭ ডিসেম্বর আ.লীগের দুইবারের নির্বাচিত এমপি ডা. মো. ইউনুস আলী সরকারের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। আগামী ২১ মার্চ এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এমএইচবি