• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০, ১০:৩০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০, ১০:৩৩ এএম

পযর্টকদের কাছে নতুন আকর্ষণ সূর্যমুখী বাগান

পযর্টকদের কাছে নতুন আকর্ষণ সূর্যমুখী বাগান
সূর্যমুখী বাগানে এক সৌন্দর্যপ্রেমী - ছবি : জাগরণ

পর্যটনসমৃদ্ধ সুনামগঞ্জ জেলায় শিমুল বাগান, বারেকটিলা, শহীদ সিরাজ লেক, যাদুকাটা নদী, টাংগুয়ার হাওরের পর এবার পযর্টকদের কাছে নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠেছে সূর্যমুখী বাগান। বাগানে এসে অনেকেই নিজে, বন্ধু-বান্ধবসহ ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। এ বাগানের ছবি এখন ফেসবুকে ভাইরাল। এসব পোস্ট দেখে সৌন্দর্যপ্রেমী ও পর্যটকদের মাঝে বাগানটি দেখতে আগ্রহীদের সংখ্যা বাড়ছে। একজন অন্যজনের কাছ থেকে খবর নিয়ে অনেকেই আসছে সূর্যমুখীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে যেতে হবে সুনামগঞ্জে জেলার সদর উপজেলার ভাদেরটেক ইউনিয়নের সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর উপজেলার সড়ক সংলগ্ন সালামপুর গ্রামে। আর এই দৃশ্য থাকবে আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত। 

জানা যায়, জেলা কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেই ৩ কিয়ার জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেন স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহমান। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় তিন শতাধিক গাছের প্রতিটিতে ফুল ফুটেছে। সকালে সূর্যের দিকে মুখ করে ফুটে থাকা এসব ফুলের সমারোহ বিকালে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সৌন্দর্যপ্রেমীদের কাছে টানছে। এসে এখানে কেউ ছবি তুলছেন, কেউ সেলফি তুলছেন, আবার অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সারা দিনই নারী-পুরুষ ও তরুণ-তরুণীদের ভিড় থাকে।

সূর্যমুখীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে অনেকে দর্শনার্থী সমাগম ঘটেছিল বাগানে। এই মৌসুমী পর্যটন এলাকাটিকে ঘিরে জমে উঠেছে ছোটখাট কিছু দোকানপাটও। শুকনা খাবার, তরমুজ ও চা নিয়ে বসে গেছেন কয়েকজন স্থানীয় মানুষ। অনেক বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা, মোটর সাইকেলের চালকরা পযর্টকদের আনা-নেয়ায় বেশ ভালো আয় করেছে। বাড়তি রোজগারের উপায় পেয়ে ব্যবসা করতে পেরে খুশি অনেকেই।

জেলা শহরের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম সুমন ও মেহেদী হাসান ভূঁইয়া জানান, হাজারো ফুলের সমারোহে মুগ্ধ আমরা। ফুলের সৌন্দর্যে কিছু সময় আনন্দে থাকা যায়। সূর্যমুখী বাগান আসলে অন্য রকম, যা কোথাও আমি পাইনি। আমি আরও দুবার এ বাগানে এসেছি। আজও এলাম বন্ধুদের নিয়ে।   

বাগানে বেড়াতে আসা আশরাফুল ইসলাম সাকিব, সুহেল আহমদ সাজুসহ অনেকেই জানান, শহরের অদূরে সূর্যমুখী বাগানটি খুবই সুন্দর। যাত্রাপথে এ ফুলের সৌন্দর্য আমাদের কাছে টেনে নিয়েছে। স্মৃতি ধরে রাখতে সূর্যমুখীর কাছে গিয়ে কিছু ছবি তুলেছি। ভাল লেগেছে আমাদের।

বাগানের মালিক আব্দুর রহমান জানান, ১৫ মার্চের মধ্যে ফুলগুলো বীজ সংগ্রহের উপযোগী হয়ে উঠবে। তখন সূর্যমুখী গাছ কেটে বীজ সংগ্রহ করা হবে। হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা এই সোনালির শোভা ১৫ মার্চের পর আর থাকবে না। আগের মতোই সাদামাটা একখণ্ড জমিতে পরিণত হয়ে যাবে। 

তিনি আরও জানান, বেড়াতে আসা লোকজন বাগানের ভেতরে ঢুকে ছবি তুলতে গিয়ে গাছগুলো মাড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে। অনেকে আবার ফুল ছিড়ে নেয়। এতে ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। 

এফসি