• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০, ০৩:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০, ০৩:১৭ পিএম

মামাকে নানা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি, দুদকে মামলা 

মামাকে নানা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি, দুদকে মামলা 

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সম্প্রসারণ অধিদফতরে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দুলাল হোসেনের (৩০) বিরুদ্ধে ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে মামাকে নানা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে নিয়োগ নেয়ার অভিযোগে রাজশাহী দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তার বিরুদ্ধে জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার মামলা দায়ের করেন। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সংরক্ষিত কোটায় ‘উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা’ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। দুলাল হোসেন ওই বছরের ৮ নভেম্বর আবেদন করে চূড়ান্ত নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই দুলালের নামে সংরক্ষিত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়। ১২ আগস্ট তিনি রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ে যোগদান করেন। মে/২০১৯ পর্যন্ত তিনি মোট ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮৪ টাকা বেতন ও ভাতাদি উত্তোলন করেছেন। 

দুলাল হোসেন ২০০৫ সালে দাখিল এবং ২০০৯ সালে কৃষি ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। চাকরি পাওয়ার জন্য তিনি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় হতে ইস্যুকৃত বর্তমানে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আলী মন্ডল, পিতা-মৃত মকিম উদ্দিন মন্ডল, সাং- তুড়গ্রাম, ডাকঘর- বৈদ্যপুর, উপজেলা-মান্দা, জেলা-নওগাঁ এর মুক্তিযোদ্ধা সনদ আবেদনপত্রের সঙ্গে দাখিল করেন। একইসঙ্গে মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান, ভালাইন ইউনিয়ন পরিষদ, মান্দা, নওগাঁ এর স্বাক্ষর জাল করে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করেন। প্রত্যয়নপত্রে তার মা দুলোতন বিবিকে মো. ইব্রাহিম মণ্ডলের জ্যেষ্ঠ কন্যা বলে উল্লেখ করা হয়। তবে ভালাইন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে- এধরনের কোনো প্রত্যয়নপত্র ইস্যু করা হয়নি।

মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুন চন্দ্র রায় বলেন, এ ব্যাপারে একটা অভিযোগ আমার কছে এসেছে। বিষয়টা তদন্তাধীন আছে। আমি তদন্তাধীন কোনো বিষয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এরইমধ্যে দুদক রাজশাহী কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন দুলাল হোসেন। তদন্তে অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজশাহী দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের অনুসন্ধানে মামাকে নানা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। সেই অনুযায়ী গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুদক রাজশাহী জেলা কার্যলয়ে মামলা হয়েছে।

এফসি