• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০, ০৪:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০, ০৪:৩৭ পিএম

যশোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১

যশোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১
মো. নুরুল হক

যশোরের মনিরামপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. নুরুল হক ওরফে নুরুজ্জামান / নুরুল ইসলাম / কেরু (৪৭)  নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে মনিরামপুর উপজেলার ভোজগাতি ইউনিয়নের দোনার গ্রামের ফাতমা নার্সারির সামনে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুল ইসলাম মনিরামপুর-ভোজগাতী গ্রামের মৃত মাজেদ বক্স গাজীর ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার তৈরি শর্টগান, একটি রাম দা, একটি হাসুয়া, দুটি ছোরা ও দুটি গাছের গুড়ি উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছেন।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুর রহমান জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বারুইহাটি গ্রাম হতে দুজন চোর ইজিবাইক চুরি করে নিয়ে আসে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কেশবপুর থানাধীন বগার মোড় নামক স্থানে পৌঁছলে স্থানীয় লোকজন চোর দুজনকে আটক করে গণপিটুটি দেয়। এসময়ে স্থানীয়রা ইজি বাইক দুটি ইজিবাইকের মালিকের কাছে হস্তন্তর করে এবং চোর দুজনকে কেশবপুর থানাধীন চিংড়া বাজার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই (নিঃ) দীপক কুমার দত্তের কাছে হস্তান্তর করে। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আটককৃতদের হেফাজতে নিয়ে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের নাম ১. মো নুরুল হক ওরফে নুরুজ্জামান ওরফে নুরুল ইসলাম ওরফে কেরু (৪৭), পিতা-মৃত মাজেদ বক্স গাজী, সাং-ভোজগাতী, থানা-মণিরামপুর, জেলা-যশোর, এবং ২. শফিকুল ইসলাম ওরফে শফি (৪৫), পিতা-আনছার আলী, সাং-জয়নগর, থানা-শ্যামনগর, জেলা-সাতক্ষীরা বর্তমানে সাং-কাজীরবেড়, থানা-শার্শা, জেলা-যশোর বলে জানায়। 

জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে নুরুল হক স্বীকার করে যে, সে একজন পেশাদার ডাকাত, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র আইনসহ ডাকাতি মামলার ১০/১২টি গ্রেফতারি পরোয়ানা মুলতবি আছে এবং তার হেফাজতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও তাহাদের সহযোগী ডাকাতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে রাত ১০টার দিকে অফিসার-ফোর্স নিয়ে যশোর কোতয়ালী এবং মণিরামপুর থানা এলাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে কোতয়ালী থানাধীন কুয়াদা বাজার পৌঁছে কোতয়ালী থানার অফিসার-ফোর্সদের সঙ্গে মিলিত হন। এসময় ধৃত শফি জানায় যে, তাহার সহযোগীরা সচরাচর কুয়াদা শ্মশানঘাট এলাকায় অবস্থান করে থাকে। তখন কেশবপুর ও মণিরামপুর থানা ও থানা এলাকা হতে আগত অফিসার ও ফোর্স অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শফিকে যশোর কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের কাছে বিধি মোতাবেক হস্তান্তর করে। এরপর কেশবপুর ও মণিরামপুর থানার অফিসাররা ফোর্সসহ ভোজগাতী গ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়ে ভোর পৌনে ৪টার দিকে মণিরামপুর থানাধীন ভোজগাতী ইউনিয়নের দোনার গ্রামস্থ ফাতেমা নার্সারি থেকে ১০০ গজ উত্তরে যশোর-চুকনগর মহাসড়কে পূর্ব পাশে কালভার্টে পৌঁছলে নুরুল হকের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাত তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে মহাসড়কের উপর ২টি গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ও গুলি চালায়। এসময়ে পুলিশ আত্নরাক্ষার্থে গুলি চালালে নুরুল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দুপক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নুরুল গুলিবিদ্ধ হয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার কল্লোল কুমার সাহা জানান, শুক্রবার ভোরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য নুরুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এসময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় ঘণ্টাখানেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার বুকে ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে। 

এফসি