যশোরের মনিরামপুরে লাঞ্ছিত সেই বৃদ্ধদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের হাত ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফী। একইসঙ্গে আপৎকালীন তারা যেন দু’মুঠো খেতে পারেন সেজন্যে চাল, ডাল, আলু, তেল, লবণ এবং ক্ষারযুক্ত সাবানও দিয়েছেন।

তাদের প্রত্যেককে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুজিববর্ষে তাদের প্রত্যেককেই ঘর বানিয়ে দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।  

শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী।  

মনিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী চিনেটোলা বাজারে ঘটে যাওয়া সেই বয়োজ্যেষ্ঠদের বাসায় যান। আমি ও স্থানীয় শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনিসহ স্থানীয় গণ্যমান্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম।

তিনি জানান, ইউএনও তাদের (বয়োবৃদ্ধদের) প্রত্যেকের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। তাছাড়া তাদের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ এবং প্রত্যেককে ঘর তৈরি করে দেয়ার ঘোষণাও দেন।

ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী গণমাধ্যমকে বলেন, তারা সবাই বয়োজ্যেষ্ঠ। আমি যখন হাত ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করি, তাদের মুখে হাসি দেখেছি। তারা সবাই বাবার বয়সী, উনারা আমাদের ক্ষমা করেছেন।

তিনি বলেন, আপৎকালীন এই সময়ে তারা যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন সে কারণে কিছু খাদ্যদ্রব্য ও সাবান দেয়া হয়েছে। এছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের ঘর করে দেয়ার ব্যবস্থাও করা হবে।  

করোনার বিস্তার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযানকালে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের চিনেটোলা বাজারে চার ব্যক্তিকে কান ধরে ওঠবস করান সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান।

ওই ব্যক্তিদের মুখে মাস্ক না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেন তিনি। ঘটনার ছবিও তোলেন তিনি। বিষয়টি গতরাতেই ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের এমন অবমাননাকর শাস্তি দেয়ায় সর্বত্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসানকে শনিবার প্রত্যাহার ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। সময়টিভি।

এসএমএম