• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২০, ০৯:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৫, ২০২০, ০৯:৫৩ পিএম

পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
প্রতীকী ছবি

ঢাকার ধামরাইয়ের বাসনা গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। গত দুইদিন ধরে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে অনশন করছেন।

সোমবার (১৫ জুন) বিয়ে না করলে ওই কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়নের বাসনা গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে পাশের নান্নার ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের এক কলেজছাত্রীর ১ বছর আগে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

কলেজছাত্রী জানান, এরই মধ্যে পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন ছুটিতে এসে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কয়েক দফায় ধামরাইয়ের একটি রিসোর্ট সেন্টারে ও সাভারের একটি আবাসিক হোটেলে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর সাদ্দাম হোসেন ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য তার বাবাকে দিয়ে মেয়ের বাড়িতে প্রস্তাব দেন। এসময় যৌতুক হিসেবে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণালংকার দাবি করেন সাদ্দামের বাবা।  কলেজছাত্রীর বাবা এত টাকা যৌতুক দিতে অস্বীকার করেন। এরপর সাদ্দাম হোসেনও মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে গত রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এরপরই সাদ্দাম হোসেন ও তার বাবা এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাদ্দাম হোসেন আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এখন বিয়ে না করলে আত্মহত্যা ছাড়া আমার কোন উপায় নেই। পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম তাকে বিয়ে প্রলোভন দেয়ার একাধিক অডিও রেকর্ড তার কাছে রয়েছে বলেও জানান।

এ বিষয়ে পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সাদ্দামের মা কমলা বেগম এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

স্থানীয়রা জানায়, সাদ্দাম হোসেন এর আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন। সেই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। বর্তমানে সাদ্দাম হোসেন ঢাকার মিরপুরে কর্মরত রয়েছেন।

ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সমকাল।

এসএমএম