• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২০, ০৬:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১১, ২০২০, ০৬:১০ পিএম

স্বামী বলছে অসুস্থতায় মৃত্যু, স্ত্রীর পরিবারের দাবি হত্যা

স্বামী বলছে অসুস্থতায় মৃত্যু, স্ত্রীর পরিবারের দাবি হত্যা

পাবনার চাটমোহরে গৃহবধূ হাফিজা খাতুনের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। হাফিজার স্বামীর পরিবার বলছে, বুকে ব্যথা অনুভত করার পর তিনি মারা গেছেন। বাবাসহ হাফিজার বাবার কুলের স্বজনদের দাবি- তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর মৃত্যু কিভাবে হয়েছে, সেটা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে হাফিজার লাশ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। ঘটনাটি বোথড় গ্রামের, ঘটেছে মঙ্গলবার (১১ আগষ্ট)।

বয়স একুশের হাফিজা খাতুনের স্বামীর নাম বাবু হোসেন, তিনি বোথড় গ্রামেরই বাসিন্দা। হাফিজার বাবার বাড়ি একই উপজেলার বনগ্রামে, তার বাবার নাম হাবিল উদ্দিন। বছর দুইয়েক আগে তাদের বিয়ে হয়। সংসারে তাদের কোন সন্তান নেই।

এলাবাসী জানিয়েছে, ভোরে অবচেতন অবস্থায় হাফিজা খাতুনকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সেখান থেকে হাফিজাকে মৃত অবস্থায় বাবুর বাড়িতেই আনা হয়। পরে পুলিশ লাশ নিয়ে যায়। 

হাবিল উদ্দিন ও তার স্বজনরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হাফিজাকে হত্যার পর স্ট্রোক করে মৃত্যু হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কারণ, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকতো। আগের দিন (সোমবার) সকালে বাবু হোসেন বনগ্রাম থেকে জোর করে হাফিজা খাতুনকে নিয়ে আসে। আর ভোরেই মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে মোবাইলে জানানো হয়- হাফিজা স্ট্রোক করে মারা গেছে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে ৩১ জুলাই মেয়েটি বনগ্রাম গিয়েছিলো।

বাবু হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন বলছেন, সোমবার রাতে স্বামী-স্ত্রী শোবার ঘরে একসঙ্গেই ঘুমাতে যায়। ভোরে বুকে ব্যথা অনুভত করছিল হাফিজা। এরপর অজ্ঞান হয়ে যায়। শরীরে ঠান্ডা অনুভুত হওয়ায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সরওয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান,  হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই রোগী (হাফিজা) মারা গেছে। কী কারণে মারা গেছে সেটা বলতে পারবো না।

চাটমোহর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলছেন, মেয়ের বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে একটা অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। লাশের সুরতহালে সন্দেহ করার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই কিভাবে মৃত্যু হয়েছে, জানা যাবে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এম