• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০, ১১:৫০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০, ১১:৫০ এএম

গর্ভের জীবিত সন্তানকে ‘মৃত ঘোষণা’ করলেন ডাক্তার

গর্ভের জীবিত সন্তানকে ‘মৃত ঘোষণা’ করলেন ডাক্তার

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ মাসের অন্তঃসত্তা এক মায়ের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে জীবিত শিশুকে মৃত বলে রিপোর্ট দেন ডাঃ রসনা বর্মন রোজ। ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধায় ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশের সুরক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

রোগীর তথ্যমতে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে জয়ন্ত তার স্ত্রী লিপি রাণীকে (২৮) নিয়ে বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ী হাট থেকে ঠাকুরগাঁও শহরের সুরক্ষা ডায়গোনোস্টিক সেন্টারে আসেন প্রসুতি মায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে। সুরক্ষা ডায়গোনোস্টিক সেন্টারের ডাঃ রসনা বর্মন রোজ অন্যান্য পরীক্ষার পাশাপাশি লিপি রাণীকে জরুরী ভিত্তিতে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। ডাঃ রসনা নিজেই আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করে পেটের বাচ্চা মৃত বলে লিখিত রিপোর্ট দেন এবং বাচ্চা অপসারণের জন্য দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। রোগী এ রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়ে অপর আরেকটি বেসরকারী ডায়গনস্টিক সেন্টারে পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করালে সনোলজিস্ট ডাঃ মো: শাহ আজমির রাসেল পেটের বাচ্চা জীবিত এবং স্বুস্থ্য আছেন বলে পুনরায় রিপোর্ট দেন। এ অবস্থায় গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ এম আর রেজাকে দেখালে তিনিও একই মত দেন এবং বলেন  প্রসুতি মায়ের জরায়ু মুখ খুলে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রসব করানোর প্রস্তুতি নিতে বলেন। গাইনী ডাক্তারের পরামর্শ মতে রোগীর অভিভাবক  তৎক্ষনাত সে ব্যাবস্থা গ্রহণ কররে ওইদিন রাতেই সুস্থ্য বাচ্চা প্রসব করেন লিপি রাণী। 

লিপি রাণীর স্বামী জয়ন্ত জানান, আমার স্ত্রীর আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে সন্তানকে মৃত ঘোষণা করলে আমার তা বিশ্বাস হয় না। পরে আসি অন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পুনরায় পরীক্ষা করি এবং আমার স্ত্রী সন্তানকে সুস্থ্য অবস্থায় ফিরে পাই। আমার মত কেউ যেন এ ধরনের হয়রানীর শিকার না হয় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

এ ব্যাপারে ডাঃ রসনা বর্মন রোজ এর মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন হোল্ড করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার স্বামী এবং ওই ডায়গনষ্টিক সেন্টারের স্বত্বাধীকারী ডেনিয়েল সিংহ এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, এটা কোন ব্যাপার না, এ ধরনের ভুল হতেই পারে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডাঃ মাহফুজার রহমান সরকার জানান, আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।

জাগরণ/এমএইচ
 

আরও পড়ুন