• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০, ০২:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০, ০২:৪৩ পিএম

জলে ভেসে থাকা পদ্মফুলে মুগ্ধ পর্যটক

জলে ভেসে থাকা পদ্মফুলে মুগ্ধ পর্যটক

পদ্ম বিলটি দেখলে যে কারোরই মন জুড়িয়ে যায়।  মনে হয়, যেন জলে ভেসে আছে হাজারো পদ্মফুল। তাইতো মুগ্ধ করা এমন দৃশ্য উপভোগ করতে তাড়াইলের দড়িজাহাঙ্গীরপুরে ভিড় জমছে প্রকৃতিপ্রেমিদের।

কিশোরগঞ্জ সদর থেকে প্রায় ২০/২২ কিলোমিটার দূরত্বের তাড়াইল উপজেলার সাচাইল ইউনিয়নের দড়িজাহাঙ্গীরপুর গ্রাম। সেখানে ‘জয়বাংলা বাজার’ সংলগ্ন কাইনহা বিলজুড়ে পদ্মফুলের অপরূপ সৌন্দর্যের এই বিশাল ভাণ্ডার। পদ্মফুলের রাজত্বের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে পদ্মবিলের সুখ্যাতি। তাড়াইলের এই বিল দেখতে কিশোরগঞ্জের গণ্ডি পেরিয়ে রাজধানী ঢাকা থেকেও ছুটে যাচ্ছেন হাজারো মানুষ। শীত মৌসুমের আগেই ভিড় বেড়েছে পর্যটকের।

প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া পদ্মফুল সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে এ অঞ্চলের।  বর্ষা মৌসুমে এ বিলের চারিদিকে শুধু পদ্ম আর পদ্ম।  বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রঙীন পদ্মফুলের পাশাপাশি ফুটে আছে সাদা পদ্মফুলও। যতদূর যায় দৃষ্টি যায় শুধু পদ্ম আর পদ্ম।

কথা হলো পদ্মবিল দেখতে আসা কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সম্মান বিভাগের শিক্ষার্থী লক্ষ্মী মালাকারের সঙ্গে।  তিনি বলেন, চার বান্ধবী মিলে পদ্মবিল দেখতে এসেছিলাম। প্রকৃতির সাথে মিলে মিশে এমন নৈসর্গিক দৃশ্য সত্যিই অবিশ্বাস্য। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের তদারকি না থাকলে এমন সুন্দর জায়গাটি নষ্ট হতেও বেশি সময় লাগবে না। কারণ, অনেককেই বেড়াতে এসে অযথা ফুল ছিড়তে দেখা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল সিদ্দিক জানান, পদ্মবিলে ঘুরতে প্রতিদিনই অসংখ্য পর্যটক এখানে আসছেন।  তবে পর্যটকদের যাতায়াতে সুবিধা নেই।   নেই বসার মতো কোনো জায়গাও। 

তাড়াইল উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস সুলতানা জানান, বর্ষা মৌসুমে গ্রামটিতে থাকে পদ্মফুলের বিশাল সমারোহ থাকে। তাই এটি সবার কাছে পদ্মবিল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।  তাছাড়া শরৎকালে পদ্মবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা দর্শনার্থীদের নৌকা নিয়ে বিলে ঘুরতে সাহায্য করে কিছু স্থানীয় মানুষ।  দর্শনার্থীদের নৌকায় ঘুরিয়ে তারাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। 

জাগরণ/এমএইচ

আরও পড়ুন