• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০, ১০:০৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০, ১০:০৪ এএম

নওগাঁয় কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল

নওগাঁয় কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল
ঘুষের টাকাসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। ছবি-জাগরণ

নওগাঁ রাণীনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি দেয়ার নামে ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নাছিমুজ্জামানের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাঠে নেমেছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি। ইতিমধ্যেই ঘুষের টাকা গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালে ২৩ জানুয়ারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওয়েভ সাইডে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার পদে মোট ১৬৫০ জন লোক নিয়োগ দেওয়া হবে মর্মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা যোগীভিটা গ্রামের রফিকুল আলম আকন্দের ছেলে নাছিমুজ্জামান আবেদন করেন। এরপর ওই পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে মৌখিক পরীক্ষার আগে ও পরে দফায় দফায় চেকের মাধ্যমে এবং নগদ মোট ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনে। কিন্তু, সেই পদে নাসিমুজ্জামানের চাকুরী না হওয়ায় ঘুষ গ্রহণকারী আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন টাকা ফেরত না দিয়ে নাসিমুজ্জামানকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। অবশেষে টাকা ফেরত পেতে ও সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে গত ১৭ আগষ্ট কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন নাছিমুজ্জামান।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জেলার আত্রাই কৃষি কর্মকর্তা কেএম কাউছার হোসেনকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গত সোমবার অভিযুক্ত আনোয়ারের কর্মস্থল রাণীনগর এসে ঘটনার তদন্ত করেন।

ভুক্তভোগী নাছিমুজ্জামান জানান, আমার এক বন্ধু রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসে চাকুরী করেন। তার মাধ্যমে পরিচয় ঘটে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে। তিনি আমাকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে দফায় দফায় চেকের মাধ্যমে ও নগদ মোট ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। চাকরী না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে আনোয়ার আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। আমি টাকা ফেরতসহ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ওই কর্মকর্তার উপযুক্ত শাস্তি দাবী করছি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে ফোন করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় গত সোমবার তদন্ত হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

তদন্ত কমিটির আহবায়ক আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম কাউছার হোসেন বলেন, তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন নওগাঁ কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবেন।

নওগাঁ কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ছামছুল ওয়াদুদ বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আংশিক হাতে পেয়েছি। পুরো কাগজপত্র হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নওগাঁ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন

জাগরণ/এমএইচ

আরও পড়ুন