• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০, ০২:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০, ০২:১৯ পিএম

ঝিনাইগাতীর মোশারফ পেলেন ‘হিডেন হিরো’ উপাধি

ঝিনাইগাতীর মোশারফ পেলেন ‘হিডেন হিরো’ উপাধি
‘রিয়েল লাইফ হিরো ও হিডেন’ হিরো উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন মোশারফ হোসাইন। ছবি- জাগরণ

করোনাভাইরাস ও শিশুদের নিয়ে নানা কাজ করে ‘রিয়েল লাইফ হিরো ও হিডেন হিরো’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মোশারফ হোসাইন।  তিনি উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের অর্নাস ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। তাকে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন’ এ উপাধিতে ভূষিত করেন। এ নিয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং দ্যা ডেইলি স্টার যৌথ উদ্যোগে ‘হিডেন হিরো মোশারফ হেল্পস দ্যা স্নেক চ্যাম্বার কমিউনিটি’ শিরোনামে ডেইলি স্টারের সংবাদ মাধ্যম এবং অফিসিয়াল ইউটিউবে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার জন্য দেশের ২০ জনকে ‘রিয়েল লাইফ হিরো ও হিডেন হিরো’ উপাধি দিয়েছে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা। তাদের প্রকাশিত সপ্তম প্রতিবেদনে মোশারফ হোসাইনের নাম ঘোষণা করা হয়।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রকোপ তখনও দেশে ছাড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু, ভাইরাসটি নিয়ে আতঙ্ক মানুষদের মাঝে, প্রান্তিক জনপদের বেদে পল্লীর মানুষ যখন জানে না করোনা ভাইরাস মোকাবিলার হাতিয়ার কি! তখন একটি বেসরকারি সংস্থা  ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় মোশারফ হোসাইন ঝিনাইগাতী উপজেলার ডেফলাই গ্রামের বেদে পল্লীতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে সাবান ও মাস্ক বিতরণ করেন। একইসঙ্গে বেদে পল্লীতে ঘরে ঘরে সরকারি জরুরি স্বাস্থ্যসেবা হেল্প লাইনের নম্বর সম্বলিত স্টীকার, সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার নিয়ম ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সম্পর্কে অবগত করেন।

মোশারফ হোসাইনের কার্যক্রম বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর নজরে আসে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের। পরে মোশারফ হোসাইনের কার্যক্রমগুলো যাচাইয়ের পর  ‘রিয়েল লাইফ হিরো ও হিডেন হিরো উপাধি দেয় আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন’।
  
শিশু অধিকার ভিক্তিক শিশু কিশোর ও অভিভাবকদের জন্য তার লেখা দু’টি বই প্রকাশ পেয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। 

মোশারফ হোসাইন বলেন, ২০১০ সাল থেকে এই পল্লীতে স্থায়ী-অস্থায়ীভাবে বসবাস করে শতাধিক পরিবার। এখানে তাদের সন্তানদের শিক্ষার কোন মাধ্যম নেই। বেদে পল্লীর মানুষ অশিক্ষিত থাকা মানে উপজেলায় সাক্ষরতার হার কমে যাওয়া, বেদে পল্লীর মানুষরাও আমাদের সমাজেই অংশ, তাদের পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই, আমরা যদি বেদে পল্লীকে পিছনে ফেলি তাহলে আমাদের সমাজও পিছিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন