• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০, ০৪:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০, ০৪:৪৩ পিএম

পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন কাল

পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন কাল
ফাইল ছবি

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘোরিয়া) আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামীকাল শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর)। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোনো ধরনের বিরতি ছাড়া ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে সব ধরনের নির্বাচনি প্রচারণা। এরই মধ্যে নির্বাচনির এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে।

ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে যেন কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে এবং ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে।

ইসি সূত্র জানায়, পাবনা-৪ আসনটি ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া— এই দুই উপজেলা দু’টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১২৯টি, মোট ভোটার ৩ লাখ ৮১ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯১ হাজার ৬৯৭ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪১৫ জন। এই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী তিন জন। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নূরুজ্জামান বিশ্বাস (নৌকা), বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব (ধানের শীষ) এবং জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম (লাঙ্গল)।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী উপনির্বাচনে মনোননয়পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ২ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই হয় ৩ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল দাখিল ছিল ৪ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়পত্র বাতিলের আপিল নিষ্পত্তি করা হয় গত ৭ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ৮ সেপ্টেম্বর। এর পর থেকেই তিন প্রার্থী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু মারা যাওয়ায় পাবনা-৪ (আটঘরিয়া-ঈশ্বরদী) আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। গত ২ এপ্রিল তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় অনুযায়ী সংসদ ভেঙে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে ইসি আরও ৯০ দিনের মধ্যে এই নির্বাচন করতে পারবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এবারে সেই পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত যাচ্ছে নির্বাচন।

জাগরণ/এমএইচ

আরও পড়ুন