• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০, ১০:২২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০, ১২:০৬ পিএম

দৈনিক জাগরণে সংবাদ প্রকাশে শান্তি রাণীর পাশে ইউএনও

দৈনিক জাগরণে সংবাদ প্রকাশে শান্তি রাণীর পাশে ইউএনও
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন শান্তি রানীকে খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেন। ছবি-জাগরণ

দৈনিক জাগরণ পত্রিকায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর  'শান্তি রানীর ভাগ্যে কি নেই সরকারি সুবিধা'' শিরোনামে প্রকাশিত খবর জানার পর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন ৭২ ঘন্টা চলা ভারিবর্ষণের মাঝেই শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় অসুস্থ বিধবা শান্তি রানীকে (৫২) খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেন। একই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে শান্তি রানীকে বিধবা কার্ড ও বসতভিটা করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।  

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে ‘দৈনিক জাগরণ’কে বলেন, পত্রিকায় সংবাদ দেখার পর আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হই। এবং আজ সেই বিধবা শান্তি রানীকে দেখতে আসি। তাকে প্রাথমিকভাবে শাড়ী, কম্বল, চাল দিয়ে সহযোগিতা করি। শান্তি রানীর মতো অসহায় মানুষদের পাশে সাহায্য সহযোগিতায় (ইউএনও) সবসময় পাশে দাঁড়াবে।

তিনি আরও বলেন, শান্তি রানীর নিজস্ব জায়গা জমি নেই। জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক শান্তি রানীকে একটি সরকারী খাস জমি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। সেখানে যেন তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারেন। এবং কৃষিকাজ করে হলেও যেন জীবিকা নির্বাহ করে চলতে পারেন। 

দৈনিক জাগরণে প্রকাশিত শান্তি রানীর সংবাদ

উল্লেখ্য, স্বামীহারা শান্তি রানী (৫২) তিনবেলা আহার এবং ওষুধ ক্রয়ের টাকার জন্য স্থানীয় এক চায়ের হোটেলে কাজ করেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে হোটেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। কিন্তু, অসুস্থতার জন্য তিনি আর কাজ করতে পারে না। একমাত্র ছেলে সেও তাকে দেখাশুনা করে না। বিয়ের পর বৃদ্ধ অসুস্থ্য মাকে ফেলে বউ নিয়ে বর্তমানে শশুরবাড়িতে বসবাস করছে। যার ফলে শান্তি রানী শহরের এনামুল পেট্রোল পাম্পের পশ্চিম পাশে অন্যের বাসা ভাড়া করে বসবাস করছেন।

জানা যায়, শান্তি রানী গত আট বছর আগে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার কারণে তার আত্মীয়স্বজনরা তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। করোনাকালে কাজ বন্ধ থাকায় সরকারি ও স্থানীয়দের কাছে কোন সাহায্য সহযোগীতাও পাননি। স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানের কাছে সাহায্যের জন্য গেলে তারাও খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে ও এক মুঠো আহারের জন্য বাড়ির পাশে এক হোটেলে কাজের সন্ধানে গেলেও হোটেল মালিক বৃদ্ধ ভেবে তাকে তারিয়ে দেয়।

এর আগে, সদর উপজেলা জামালপুর ইউনিয়নের আব্দুল লতিফের মেয়ে ও ঠাকুরগাঁও সেন্ট মাদার তেরেসা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা আক্তার তার জন্মদিন  উপলক্ষ্যে সেই অসুস্থ্য শান্তি রানীকে দুই মাসের খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেন।

জাগরণ/এমএইচ

আরও পড়ুন