• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২০, ০১:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১, ২০২০, ০২:০২ পিএম

হত্যার ৬ বছর পর আদালতে জীবিত হাজির

হত্যার ৬ বছর পর আদালতে জীবিত হাজির

নারায়ণগঞ্জে স্কুল ছাত্রী জিসা মনি কাণ্ডের রেশ না কাটতেই আবারো চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে। যা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।  জেলার ফতুল্লা থানায় একটি অপহরণ মামলার ছয় বছর পর নিজেই আদালতে হাজির হয়েছেন কথিত অপহৃত মামুন নামের এক যুবক। অথচ পুলিশ তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ওই অপহৃতকে হত্যার পর লাশ গুম করে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দিয়েছে।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের আদালতে কথিত মৃত ব্যক্তি মামুনকে হাজির করা হয়। পরে আদালত একজন আইনজীবীর জিম্মায় মামুনকে ছেড়েছেন।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ মে চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় নিজ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে নিখোঁজ জন মামুন। তখন কোনো সাধারণ ডায়েরি বা অভিযোগ করা হয়নি। এরপর ছেলেকে না পেয়ে ঘটনার ২ বছর পর ২০১৬ সালের ৯ মে মামলা করেন বাবা আবুল কালাম। 
এক মেয়ের সাথে প্রেম করায় মামুনকে ‘অপহরণ করে খুন করার উদ্দেশ্যে গুম’-এর অভিযোগ এনে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন তিনি। মামলায় আসামি করা হয় মামুনের কথিত প্রেমিকা তসলিমা, তার বাবা রকমত আলী, ভাই রফিক, খালাতো ভাই সাগর ও সাত্তার মোল্লাকে।

মামলার পরে সকল আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মাকসুদা বেগম নামের এক নারীর চাক্ষুস সাক্ষী হিসেবে দেওয়া ‘অপহরণ করে খুন করার উদ্দেশ্যে গুম’র বর্ণনা ১৬১ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। পরে আসামি কথিত প্রেমিকা তসলিমা ও তার ভাই রফিক দেড় বছর কারাবাস করেছেন। আর আসামি রকমত আলী, সাগর ও সাত্তার ছিলেন দেড় থেকে তিন মাস। 

সম্প্রতি জানা গেছে, ৬ বছর আগে ‘মৃত’ সেই মামুন জীবিত আছেন। পরে বাদী পক্ষের আইনজীবীরা সেই মামুনকে আদালতে হাজির করেছেন।

আসামিদের আইনজীবী এমদাদ হোসেন সোহেল শুনানি শেষে সাংবাদিকদের বলেন, নিরীহ-নিরপরাধ মানুষগুলো আজ জেল খেটেছে। আমরা তার বিচার চাই। রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাই। পাশাপাশি বাদী কেন মিথ্যা মামলা করলো, তার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

জাগরণ/এমআর