• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২০, ০১:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২১, ২০২০, ০২:০৪ পিএম

অনেক মন্দিরই ৩৪ কেজি চালের টাকা পায়নি!

অনেক মন্দিরই ৩৪ কেজি চালের টাকা পায়নি!
ফাইল ছবি

পাবনা জেলার চাটমোহরে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারের দেয়া ৫০০ কেজি চালের মধ্যে ৩৪ কেজি চালের দাম এখনো পায়নি অনেক মন্দির। সংগঠন চালানোর খরচের নামে এ টাকা নিজেদের হাতে রেখেছেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা। এ নিয়ে মন্দির কমিটির নেতাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বঞ্চিত মন্দির কমিটির দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। 

জানা গেছে, দুর্গাপূজার আয়োজক প্রতিটি মন্দিরের পাওয়া চাল একত্রে বিক্রি করেন সংগঠনটির নেতারা। কিন্ত চাল বিক্রির ১৩শত টাকা কম দেওয়া হয় প্রতিটি মন্দির কমিটিকে। ঘটনাটি জানাজানি হলে পৌর এলাকার মন্দিরগুলোকে ফেরত দেওয়া হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেক মন্দিরই এখনো বাকি টাকা পায়নি।  এ সংক্রান্ত প্রমাণ রয়েছে চাটমোহর সংবাদদাতার হাতে। 

এ বছর উপজেলায় ৪৭টি মন্দিরে হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। এ সব মন্দিরের প্রতিটিকে পূজা উদযাপনে সার্বিক খরচ সহায়তা হিসেবে ৫০০ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। এ চাল পূজা উদযাপন সংশ্লিষ্ট কাজেই ব্যবহার করার কথা। এ কথা জানিয়েছেন চাটমোহর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীম এহসান। 

বঞ্চিত একাধিক মন্দির কমিটির নেতারা জানিয়েছেন, ৩৮ টাকা কেজি দরে এ চাল বিক্রি করেন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি। এতে প্রতিটি মন্দির ভাগে পায় ১৯ হাজার টাকা। কিন্তু প্রতিটি মন্দির কমিটির মাঝে বিতরণ করা হয় ১৭ হাজার ৭০০ টাকা। 

গুনাইগাছা ইউনিয়নের একটি মন্দিরের এক নেতা জানান, ১৩ শত টাকা কম দেয়ার বিষয়টি জেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা জেনে যায় গোপনে। এরপরেই ডেকে ডেকে পৌর এলাকার মন্দির কমিটির হাতে ১৩শত টাকা দিয়ে দেয়া হয়। আমাদের মন্দিরকেও ১৩ শত টাকা দিয়ে দেয়া হয়েছে। হাণ্ডিয়াল ইউনিয়নের একাধিক মন্দির কমিটির নেতারা জানিয়েছেন,  রেখে দেয়া ১৩শত টাকা এখনো পাননি তারা। 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার দত্ত  (চৈতন্য) বলেন, আমরা কোন টাকা রেখে দেয়নি। প্রাপ্য সব টাকাই প্রতিটি মন্দির কমিটিকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। চাল বিক্রির টাকা কম দেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম জানান, এ চাল কোন সংগঠনকে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মন্দিরকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এ ধরণের ঘটনা ঘটলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাগরণ/এমকে/এমআর