• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২০, ০৭:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২১, ২০২০, ০৭:১৯ পিএম

পানি সংরক্ষণ করে শুস্ক মওসুমেও চাষাবাদ হবে

খাল খননে খুশি হাজারো কৃষক

খাল খননে খুশি হাজারো কৃষক

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ‘আবাদিয়া খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লি:’ এর টেইসই প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি মাধ্যমে আবাদিয়া উপ প্রকল্প (শাখা) খাল খনন করা হয়েছে। এই শাখা খাল খনন হওয়ায় উপকৃত হচ্ছেন হাজারো কৃষক ও সমিতির সদস্যরা। দ্ইু হাজার আটশত মিটার খালটি খনন করায় হাজারো কৃষক সোনালী স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। 

জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে ‘টেকসই ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খনন কাজটি করে ‘আবাদিয়া শাখা খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড। আবাদিয়া শাখা খালের মোট দুই হাজার আটশত মিটার খনন করতে মোট ব্যয় হয়েছে ২৬ লাখ ৩২ হাজার ৬শত ৫২ টাকা। চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে খালটি খনন করা হয়। খালটি উপজেলার পত্নীতলা ইউনিয়নের গোপিনগর থেকে শুরু হয়ে সন্তোষপাড়া পূর্ব প্রান্তে গিয়ে শেষ হয়েছে। খাল খনন হওয়ায় পত্নীতলা, গোপিনগর, মহিমাপুর, কল্যাণপুর ও চক আফজালসহ কয়েকটি গ্রামের শত শত কৃষক-কৃষাণীরা সুবিধা ভোগ করছেন। খাল খনন করায় বর্ষার স্লুইস গেটের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণ করে শুস্ক মওসুমে চাষাবাদ কাজে ব্যবহার সহজ হবে।

খালের পাড় কল্যাণপুর গ্রামের কৃষক মো.খোরশেদ আলম বলেন, আবাদিয়া উপ প্রকল্প (শাখা) খাল খনন করায় এলাকার কৃষকরা নতুন করে সোনালী স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। আগে বন্যার পানি উপচে ফসল ডুবে যেতো। ফলে ফসল পানিতে তলিয়ে যেতো। খাল খনন করায় এ সমস্যা আর নেই। খালের পানি ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষবাদ শুরু করেছি। খালের তীরবর্তী পত্নীতলা গ্রামের গ্রামের কৃষাণী শামসুন নাহার বলেন, শুস্ক মওসুমে খালের পানি সংরক্ষণ করায় এ পানিতে তিনি হাঁসপালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষক ইমরান চৌধুরী বলেন, খালের পানি ব্যবহার করে ইরি বোরো ধানের চারা (বিছন) বীজতলায় বপন সহজ হবে। তাছাড়া এ পানি ব্যবহার করে রবি মওসুমে আলো, গম, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি উৎপন্ন হবে। স্লুইস গেট বন্ধ করে বর্ষা মওসুমে পানি সঞ্চয় করে রাখায় এ পানিতে কৃষকরা ব্যবসা ভিত্তিতে হাঁস পালন শুরু করেছে। এ খাল খনন করায় সমিতির প্রায় ২০০ জন সদস্য প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হচ্ছে। এ খালকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের কৃষকরা সংগঠিত হয়েছে। তারা এখন সমবায় ভিত্তিক চাষবাদ করছে। 

এব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগের পত্নীতলা উপজেলা প্রকৌশলী সৈকত দাস বলেন, সমিতির সদস্যরা খাল খননের জন্য একটি রেজুলেশন তৈরী করে আমার কাছে জমা দেন। সেটি নির্বাহী প্রকৌশল বরাবর দাখিল করা হলে খাল খননের বরাদ্দ আসে। সে প্রেক্ষিতেই খালটি খনন করা হয়। 

তিনি আরো বলেন, সমিতির সদস্যদের নিয়ে ৭টি গ্রুপের মাধ্যমে কাজ সম্পাদন করা হয়। প্রত্যেক গ্রুপে ২৫ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করা হয়। খাল খননে স্ক্যাবেটর দিয়ে ৭০ শতাংশ এবং সুবিধাভোগী শ্রমিকদের দিয়ে ৩০ শতাংশ কাজ করা হয়েছে। খাল খননের ফলে ওই এলাকার কৃষির প্রসার ঘটানো, মৎস্য চাষ ও হাঁস পালন সহ অন্যান্য সুবিধা পাবে। এতে করে সমিতির সদস্যের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।